সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
কমলগঞ্জে স্থান সংকুলানের অভাবে হিমশিম খাদ্য গোদাম সংশ্লিষ্টদের
সালাহ্উদ্দিন শুভ, কমলগঞ্জঃঃ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ে দুই খাদ্য গোদামে স্থান সংকুলানের অভাবে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৯শ’ মে.টন ধানের মধ্যে পর্যন্ত দুই খাদ্য গোদামে ধান ক্রয় করা হয়েছে ৮১০ মে. টন। গোদামে ধান নিয়ে আসা কৃষকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার সরকারি খাদ্য গোমামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হয়। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ভানুগাছ ও শমশেরনগর সদরের দুই গোদামে চালের মজুত থাকায় কৃষকের কাছ থেকে ক্রয়কৃত ধানের জায়গা সংকুলান নিয়ে বিপাকে খাদ্য গোদাম কর্মকর্তারা। লটারীর মাধ্যমে উপজেলার তালিকাভুক্ত এক হাজার ৪শ’ কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়।
উপজেলার ভানুগাছ ও শমশেরনগর গোদামে সরকারিভাবে ১ হাজার ৯শ’ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার কথা। সরকার মন প্রতি এক হাজার ৪০ টাকা মূল্যে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। তবে গোদামে মজুতকৃত চাল স্থানান্তর না হওয়ায় কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার পর সংরক্ষণ করা দুরহ হয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলার দুই গোদামের আশপাশ এলাকা ধানে ভরপুর হয়ে উঠেছে। ভানুগাছ খাদ্য গোদামে ৩৯৭ মে. টন ও শমশেরনগর গোদামে ৪১৩ মে.টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। কৃষকরা ধান বিক্রির জন্যে ট্রাকে করে বস্তাভর্তি ধান রেখে বারবার গোদামে ধর্না দিচ্ছেন।
খাদ্য গোদাম সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমদিকে প্রচন্ড শীত ও আর শৈত আবহাওয়া জনিত কারণে কৃষকরা ধান নিয়ে আসতে পারেননি। তবে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হওয়ার সাথে সাথেই ধান নিয়ে আসা কৃষকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এ পর্যন্ত দুইটি গোদামে দুই হাজার মে.টন করে চাল রিজার্ভ রয়েছে। এসব চাল বিতরণের খাত না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। আর গোদাম খালি না হওয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত ধান রাখার জায়গাও সংকুলান হচ্ছে না।
শমশেরনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকির আহমেদ জানান, আর্দ্রতা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা না থাকায় ধান ক্রয়ে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে দুই গোদামে প্রায় ২ হাজার মে.টন চাল সংগ্রহ থাকায় ধান রাখতেও সমস্যা হচ্ছে। গাদাগাদি করে ধান দিয়ে গোদাম ভর্তি করা হয়েছে। এখন কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত ধান কোথায় রাখবো তা নিয়ে মহা সমস্যায় পড়েছি।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র দাস বলেন, গোদাম থেকে চাল স্থানান্তরে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩শ’ মে.টন চাল স্থানান্তরের অনুমতিও পাওয়া গেছে। জায়গা সংকুলানের অভাবে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও আশা করা হচ্ছে এই সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে যেসব কৃষক ধান নিয়ে আসছেন তাদের সবারই ধান রাখা হচ্ছে।