সিলেট ৩০শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
গ্রামের কেউ মারা গেলে বারবার উঠে আসে এমন অমানবিক বাস্তব চিত্রটি
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
রামুর গর্জনিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার লাশটিও একটি ব্রিজের অভাবে পানিতে নেমে কাঁধে করে পার করল এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়া পাড়ায়। এ
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার বাইশারী ইউনিয়নের হরিণ খাইয়া গ্রামের মৃত আকবর আহমেদের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ প্রকাশ মুজারু (৭৮) গতকাল মারা যান। তাদের পারিবারিক কবরস্থানটি হলো হরিণখাইয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিয়া পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন। আশপাশের লোকজন তাদের স্বজনদের দাফন করেন এ কবরস্থানে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল- হরিণখাইয়া গ্রামের লোকজন এ কবরস্থানে আসেন পানি বেয়ে বা বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে। তবে বেশির ভাগ গ্রামবাসীকে পার হতে হয় কোমর পর্যন্ত পানি ডিঙিয়ে। আর লাশ নেয়া হয় পানিতে নেমে হাবু-ডুবু খেয়ে বা ভেলায় ভাসিয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, এমন অমানবিক দৃশ্য কাকে দেখালে এ জনপদে একটি ব্রিজ হবে সেটিই তারা করবেন। তাদের অভিযোগ, কঙসবাজার জেলার সবচেয়ে অবহেলিত জায়গাটি হলো গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল শিয়াপাড়া।
এলাকাবাসী আরো জানায়, এখানকার লোকজন জানে না তাদের ইউপি চেয়ারম্যান কে বা অপরাপর জনপ্রতিনিধি কারা। এছাড়া একই কারণে ওই এলাকার ছোট্ট কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যেতে পারে না।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজলকে তিনি বিষয়টি একাধিক জানিয়েছেন। কোনো কাজ হয়নি। শিয়াপাড়া এবং বড়বিলে একটি ব্রিজের দরকার, কিন্তু তারা কেউ কথা শোনেন না। এজন্য এর সমাধানও হয়নি। একটি ব্রিজের জন্য প্রায় হাজারের অধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী।
এ ব্যাপারে গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার বার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।