কারাগারেই বিয়ে হয় তাদের

প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০

কারাগারেই বিয়ে হয় তাদের

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী এক হাজতির সঙ্গে বাদীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আদালতের নির্দেশের গতকাল শনিবার বিকেলে কারাগারের অফিস কক্ষে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এ বিয়ের বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা চিনাশুখানিয়া এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মো. স্বপন মিয়া। আর কনে একই এলাকার আব্দুল কাদিরের মেয়ে আয়শা খাতুন।

 

বর ও কনের পরিবারের বরাত দিয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার বাহারুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে মো. স্বপন মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার আয়শা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। একপর্যায়ে আয়শা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর আয়েশা খাতুনের ঘরে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে স্বপন মিয়া তাদের ওই সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেন। কোনো উপায় না পেয়ে আয়শা খাতুন শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। স্বপন ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ওই কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

 

পরে স্বপন, আয়শাকে স্ত্রীর মর্যাদা এবং শিশুকে পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে গত ২৮ জানুয়ারি ওই মামলায় উচ্চ আদালত তাদের দুজনের বিয়ের নির্দেশ দেন। করাগারে থাকা অবস্থায়ই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর বিয়ের প্রমাণপত্র আদালতে পাঠাতে বলা হয়। কাগজপত্র গত বৃহস্পতিবার এ কারাগারে পৌঁছালে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল শনিবার বিকেলে বর-কনে এবং তাদের বাবা-মাসহ স্বজনদের সম্মতিতে এবং তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় নিয়মানুযায় তাদের করাগারেই দুজনের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।

 

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার বাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশেই কারাগারের অফিস কক্ষে স্বপন মিয়া ও আয়শা খাতুনের বিয়ে আয়োজন করা হয়। এ সময় বর ও কনের বাবা-মা, তাদের এক বছরের ছেলে ও পরিবারের আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী আশরাফুল আলম তাদের বিয়ে পড়ান। তাদের বিয়ের প্রমাণপত্র আদালতে পাঠালে স্বপনের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031