১৭শ’ সুন্দরী ছিল পাপিয়ার হাতে

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০

১৭শ’ সুন্দরী ছিল পাপিয়ার হাতে
Spread the love

৯২ Views

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

গ্রেপ্তারের পর থেকেই নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার নানা অপকর্মের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বের হচ্ছে।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, পাপিয়ার ওমেনাইজিং বিজনেসের সাথে জড়িত ছিল ১৭শ’ সুন্দরী নারী। এসব নারীদের বিভিন্ন কৌশলে কাজে লাগিয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষস্থানীয়দের কাছে। দেশের ৬৪ জেলায়ই ছিল তার নেটওয়ার্ক।

 

জানা গেছে, রিমান্ডে স্বর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পাপিয়া। বাংলাদেশ স্কট সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি অনলাইন গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় পাপিয়ার হাত ধরে। ওই স্কট সার্ভিস থেকেই অভিজাতদের কাছে নারী সরবরাহ করা হতো।

 

ঢাকার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের লেভেল-২২ এ এক হাজার ৪১১ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বিলাসবহুল প্রেসিডেনসিয়াল স্যুইট। সেখানে অতিথিদের নিয়ে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করতেন পাপিয়া। এরপর পছন্দসই তরুণীকে নিয়ে গোপন কক্ষে প্রবেশ করতেন ভিআইপিরা। ওয়েস্টিনের ২২ তলায় চার বেডরুমের ওই স্যুইটের প্রতিরাতের ভাড়া সাধারণভাবে দুই হাজার ডলারের মতো। পাপিয়ার রাজ্যে বিচরণ ছিল প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার অনেক শীর্ষ ব্যক্তিরই। ওয়েস্টিন হোটেলের কর্মকর্তারাও জানত তার অপকর্ম সম্পর্কে।

 

ধণাঢ্য ব্যবসায়ীরাও পাপিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে যেতেন হোটেল ওয়েস্টিনে। এছাড়াও গুলশানের তিনটি এ্যাপার্টমেন্ট, ধানমন্ডি মোহাম্মদপুর ও শ্যমলী এলাকায় আরও তিনটি এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েই নারী ব্যবসা চালান পাপিয়া। যারা ওয়েস্টিনে যেতে সমর্থ রাখে না। তাদের যাতায়াত ছিল ওইসব এ্যাপার্টমেন্টে। দেশের কোনও পর্যটন এলাকায় ঘুরতে গিয়ে মনোরঞ্জনের জন্য নারী সংগ্রহ করতে চাইলে বাংলাদেশ স্কট সার্ভিসের নম্বরে ফোন দিলেই সেখানে তরুণীদের পাঠিয়ে দেয়া হতো।

 

এছাড়াও মন্ত্রী এমপি আমলাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতেও ব্যবহার করা হতো সুন্দরী তরুণীদের। পাপিয়ার এই অনলাইন সার্ভিস দেখার পর বেশ কয়েকটি দেহ ব্যবসার অনলাইন সার্ভিস শুরু হয়।

 

যার অদ্য প্রান্ত জানতেন যুব মহিলা লীগের দুই শীর্ষ নেত্রী, এক নারী এমপি ও শীর্ষ আরও কয়েকজন নেতা। তাদের মাধ্যমেই মন্ত্রী-এমপিদের বাগে এনেছেন। সামাল দিয়েছেন ব্যবসার আইনি ঝামেলা।

 

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মনোরঞ্জনের জন্য পাপিয়ার কাছে সুন্দরী নারী চাইতেন ক্যাসিনো অভিযানের সময় গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দরীদের পাঠিয়ে দেয়া হতো সরকারি-বেসরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে। আর ওই সুন্দরীদের মাধ্যমে টেন্ডারবাজরা হাসিল করে নিতেন বড় বড় টেন্ডার।

 

পাপিয়া ওই সুন্দরীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করতেন। তাদের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ কিংবা অন্যান্য সামগ্রীতে পাপিয়া কৌশলে লাগিয়ে দিতেন অত্যাধুনিক ডিভাইস। সেই সব ডিভাইসে ধারণকৃত মনোরঞ্জনের দৃশ্যগুলো পরবর্তী সময়ে কাজে লাগাতেন পাপিয়া।

 

এছাড়া হাই সোসাইটির খদ্দেরদের চাহিদা অনুযায়ী পাপিয়া তার সংগ্রহে রাখতেন রুশ ও থাই সুন্দরীদেরও। চাহিদা ও রেট মিলে গেলে পাপিয়া তাদের নিয়ে আসতেন বাংলাদেশে।

 

এদিকে, পাপিয়া ও তার সহযোগীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ জগতের বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্যে বেরিয়ে আসছে মদদদাতাদের নাম। এদের মধ্যে যুব মহিলা লীগের তিন নারীনেত্রীর বিষয়ে এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। যারা তাকে রাজনীনিতে প্রবেশ ও বড় পদ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন। যাদের মাধ্যমে অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল পাপিয়ার।

 

 

 

সৌজন্যে : পূর্বপশ্চিম


Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

June 2023
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930