সিলেট ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২০
ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল রবিবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এ পেঁয়াজ আসছে।জানা যায়, রবিবার বিকালে ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরের পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতীয় ১৭টি ট্রাকে ৩৭৪ টন পেঁয়াজ এসেছে। এছাড়া সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ১৮০ টন পেঁয়াজ এসেছে। এর ফলে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসে।
অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়।এদিকে দেশে এখন পেঁয়াজের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম কমছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির। ফলে মৌসুমের এ সময়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দেশের পেঁয়াজ চাষিরা।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় পেঁয়াজ চাষিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং পেঁয়াজ উত্পাদনে উত্সাহিত করতে আমদানিকৃত পেঁয়াজে শুল্ক আরোপের সুপারিশ করে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি একটি সুপারিশমালা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কৃষকের উত্পাদন ব্যয়ের সঙ্গে নির্ধারিত পরিমাণ মুনাফা (সম্ভাব্য ২০ শতাংশ) যুক্ত করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে বিক্রয়মূল্য হিসেবে এ শুল্ক আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু এখন কোনো শুল্ক আরোপ ছাড়াই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মৌসুমের সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসায় দেশের পেঁয়াজ চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন। কারণ, এবার পেঁয়াজের উত্পাদন খরচ বেশি পড়েছে। আর ভারত গত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বন্ধ করার পর পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় চাষিরা লাভের আশায় বেশি পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। এ অবস্থায় চাষিরা যদি লোকসানের মুখে পড়েন তাহলে তারা পেঁয়াজ আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন। এরমধ্যে ১৫ লাখ টন দেশে উত্পাদন হয়। বাকি চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।