সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
বুলবুল আহমেদ/নবীগঞ্জঃঃ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কালিয়ার ভাঙ্গাঁ ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামে সকাল বেলায় মক্তবে হুজুরের নিকট কোরআন শিক্ষা দিতে গিয়ে অলিউডর রহমান নামের এক মাদরাসার শিক্ষক কর্তৃক ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্ট ও শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, গত সোমবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে প্রতিদিনের ন্যায় জনৈকা (১১) বছরের কিশোরী ও তার বোন সহ সহপাঠীদের সাথে মক্তবে যায় কোরআন শিক্ষা নিতে৷ ঐ কিশোরী লম্পট হুজুর নামের শিক্ষকের কু-নজরে পড়ে। এতে সু-কৌশলে লম্পট ধর্মীয় শিক্ষক অলিউর রহমান কিশোরী মেয়েটিকে পাশ্ববর্তী মান্দারকান্দি গ্রামের পশ্চিম পাড়া পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের খালি কক্ষে নিয়ে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়! একপর্যায়ে ভাগ্যক্রমে মেয়েটির বড় বোন মসজিদে তার খোঁজে এসে ইমামনের দরজা খোলা মাত্রই শিক্ষক পালিয়ে যায়!
সে নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামের আব্দুস শহিদের পুত্র অলিউডর রহমান। সে বানিয়াচং উপজেলায় কদুপুর একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
এঘটনার ভূক্তভূগী পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ থানায় এসে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে অলিউর রহমানকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা বলেন, শিক্ষক ও হুজুর নামের কলংক লম্পট অলিউর। সে কোরআন শিক্ষার নামে যে কু-কর্ম আমার মেয়ের সাথে করলো তা ধর্য্য ধরার মতো নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একজন মাদ্রাসার শিক্ষক ও মক্তবের হুজুর হয়ে যদি একটি কিশোরী মেয়ের সাথে এমন করতে পারে, তাহলে আমরা আমাদের ছেলে- মেয়েদের কার কাছে শিক্ষা গ্রহন করার জন্য দেব? আর কাকে বিশ্বাস করবো? ঐ লম্পটের সাথে কিছু নারী লিপ্সু প্রভাবশালী সাথে তার সম্পর্ক থাকার কারণে এখন পর্যন্ত এর কোন সুষ্ঠু বিচার সালিশ হয়নি! কেউ এর উপরোক্ত বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে, বুঝে, শুনেও না শুনার বাহানা করে এড়িয়ে যাচ্ছেন! সে এতো বড় অপরাধ করেও গ্রাম, সমাজ ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিরদর্পে চলাফিরা করছে! এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার পাশাপাশি টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কিশোরী মেয়ের বাবা নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন বা তাকে আইনের আওতায় না আনায় পুলিশের প্রতি স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এতে উল্টো কিশোরীর বাবা সহ তাদের পরিবারের লোকজন নানান আতংকে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন পিপিএম- বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশেষে গতকাল (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে থানার এস. আই তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ধর্ম শিক্ষক ও মক্তবের অলিউডর রহমানের মোবাইল নাম্বারে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে ফোনটি বন্ধ করে দেন। এতে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।