তাহিরপুরে সোনা মিয়া হত্যা দামাচাপা দিতে,প্রতিপক্ষের লুটের মামলা

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫

তাহিরপুরে সোনা মিয়া হত্যা দামাচাপা দিতে,প্রতিপক্ষের লুটের মামলা
প্রতিনিধি / সুনামগঞ্জ ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে হত্যা মামলার আসামীদের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পিতা বৃদ্ধ সোনা মিয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
‎আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের একতা বাজারে সংবাদ সম্মেলনটি করেন নিহত সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হামিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই সামছুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের নিহত সোনা মিয়ার (৬৫) ছেলে আব্দুর রহমান (৩৮) এর নিকট একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে নজির হোসেন(২২) এর পাওনা ১৫০০ টাকাকে কেন্দ্র করে ২১ সেপ্টেম্বর দুজনের কথা কাটাকাটিহয়। এরই জের ধরে ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষ নজির হোসেন ও  সুলতান মিয়াসহ তাদের আত্নীয় স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ  সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুর রহমানের বাড়ি হামলা করে তাকে(আব্দুর রহমানকে) মারধর করে। একপর্যায়ে আব্দুর রহমানের পিতা সোনা মিয়া খবর পেয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ সুলতান মিয়াসহ তাদের আত্নীয় স্বজনরা দাঁড়ালো দা দিয়ে আব্দুর রহমানের পিতা বৃদ্ধ সোন মিয়ার মাথাসহ শরীরের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে তাকে আশঙ্কাজনক উদ্ধার করে অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।  সেখানে ২২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনা মিয়া মারা যান। প্রতিপক্ষ বৃদ্ধ সোন মিয়ার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে প্রতিপক্ষ সুলতান মিয়াসহ তাদের আত্নীয় স্বজনরা তাদের বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র, গরু-বাছুরসহ সকল মালামাল বিভিন্ন গ্রামে তাদের আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে নিজেরাই  সরিয়ে ফেলে। যার যথেষ্ট প্রমাণ ভিডিও ছবিসহ এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য লোকজন অবগত আছেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি আবারও বলেন, আমার পিতা সোনা মিয়ার হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে এবং আমাদের পরিবারকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে প্রকৃতপক্ষে হলহলিয়া গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে খুনি সুলতান মিয়া বাদী হয়ে উল্টো গত ২৬ অক্টোবর দ্রুত বিচার আইনে মহামান্য আদালতে আমাকেসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৭০/৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মিথ্যা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের মামলা দায়ের করে। এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায়, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। বাস্তবে, খুনের ঘটনার পর খুনি পক্ষ নিজেরাই তাদের বাড়ি-ঘরের জিনিসপত্র আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে গেছে। যা আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজসহ স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
‎লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা সোনা মিয়া হত্যার পর থেকে আসামিপক্ষ আমাদের পরিবারকে বারবার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে, যাতে আমরা হত্যা মামলাটি তুলে নেই। না হলে আরও বড় ক্ষতি করা হবে বলে তারা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। যার ফলে আমি ও আমার পরিবারসহ আত্নীয় স্বজনরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তাই আমি ও আমার পরিবারের লোকজনের বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি হত্যা মামলার আসামীদের করা মিথ্যা লুটের মামলা প্রত্যাহার পুর্বক আমার পিতা সোনা মিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য।
‎এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন, ৪ নং বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য রুপন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্যই হযরত আলী, ডাক্তার গফুর, নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগ, ছেলে  আব্দুল হামিদ, নিহতের ভাতিজা জুনাব আলী, শামসুল ইসলাম, নিহতের বড় ভাই চানদু মিয়া প্রমুখ। এবং ইলেকট্রনিক্স ও সাংবাদিক বৃন্দ।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930