সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০
জেলা প্রতিনিধিঃঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কালোবাজারে ১০ টাকা মূল্যের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল চুরির অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে র্যাব-৯। দীর্ঘদিন থেকে তারা উপকার ভোগীদের চাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুরিকৃত ২১০ কেজি চালসহ পিতা-পুত্রকে আটক করে। ৮ ঘন্টার অভিযানে বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় তাদেরকে আটক করে র্যাব।
জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপকারভোগী লোকদের সাথে সাক্ষাত করে এর সত্যতা পান। এরই রেশ ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ্ এর মালিকানাধীন গোলের হাওর কাজুর দোকানের গুদামে দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তের পর অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে ১০ টাকা মূল্যের ২১০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতা ডিলার আবু আব্দুল্লাহ্ (৫৫) ও তার ছেলে আজিজুর রহমান (২৮) কে আটক করা হয়।
গোলের হাওর ও এর আশপাশের এলাকায় গিয়ে কার্ড নাম্বার ৫৭২ সাগর দেব বর্মা, কার্ড নাম্বার ৫৭১ সুবাস দেব বর্মা, কার্ড নাম্বার ২৬৩ মো: মনির মিয়া, কার্ড নাম্বার ৫৭৪ হরেন্দ্র দেব বর্মা, কার্ড নাম্বার ৫৬৭ রামচরন গড়, কার্ড নাম্বার ৫২৯ রাধা কৃঞ্চ রাজভর, কার্ড নাম্বার ৫৬৬ মনু রাম গড় ও কার্ড নাম্বার ৫৭৩ প্রবীত দেব বর্মাসহ আরও কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় এ পর্যন্ত ১২ বার চাল বিলির জন্য আসলেও তারা কেহ কেহ একবার, আবার কেহ কেহ ৪-৫ বার পাবার পর আর চাল পাননি।
এ চালগুলো সুকৌশলে উপকার ভোগীর মাঝে বিলি না করে রাতের আঁধারে অন্যত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে চাইলে বাজার চৌকিদার আটক করে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। সবকিছু বিবেচনা করে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তাদের কাছ থেকে ৭ বস্তায় ২১০ কেজি চাল উদ্ধার করে ২ জনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামিম ডিলারের বাবা ও ছেলেসহ চাল আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এসব চাল গরিবের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার। খাতায় ২৩ বস্তা থাকার কথা থাকলেও ৩০ বস্তা চাল পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় আরও এরকম অভিযোগ রয়েছে, তদন্তপূর্বক গরীবের হক মেরে খাওয়াদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তদন্ত করে এর সত্যতা পেলেও অধিক তদন্তের কথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, তদন্ত করে চাল সরানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেনা বলে লিখিত নিয়ে তাকে সাবধান করা হয়েছে।