জগন্নাথপুরের শামীমাকে নিয়ে লন্ডন- বাংলাদেশের ঠেলাঠেলি

প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০

জগন্নাথপুরের শামীমাকে নিয়ে লন্ডন- বাংলাদেশের ঠেলাঠেলি

লন্ডন অফিসঃঃ

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের আশারকান্দি ইউনিয়নের দাওরাই গ্রামের আহমদ আলী পৈত্রিক সূত্রে যুক্তরাজ্যে যান। সেখান থেকে দেশে এসে একই গ্রামের আসমা বেগমকে বিয়ে করে আবার ফিরে যান লন্ডনে। সেখানে সুখেই সংসার চলছিলো তাদের। আসমা এবং আহমদ আলী দম্পতির  তার চার মেয়ে। এর  মধ্যে শামীমা বেগম সবার বড়। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৯০ সালে আহমদ আলী দেশে এসে আবার বিয়ে করেন। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতেই থাকেন।লন্ডনে জন্ম। সেখানেই বেড়ে উঠা। পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকার স্কুলের ছাত্রী শামীমা বেগম ২০১৫ সালে তার আরো দুই বান্ধবীসহ তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ডাচ বংশোদ্ভূত এক ‘জঙ্গি’কে বিয়ে করেন।

 

তার তিনটি সন্তান জন্ম হয় এবং পরে তারা মারা যায়। গতবছরের মার্চে তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। তখন এই শামীমার সর্বশেষ শিশু সন্তানটিও মারা যায়। শামীমা বেগমের বয়স এখন ২০। ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে লন্ডন ছেড়েছিলেন তিনি। চার বছর পরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে এই সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে এখনো রয়েছেন শামীমা।

 

ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ গতমাসে তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-বধূ হওয়া সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরের মেয়ে ও ব্রিটিশ স্কুলছাত্রী শামীমা বেগম তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার প্রথম ধাপে হেরে যান।

 

কমিশন বলেছে- ২০ বছর বয়স্ক শামীমা বেগম ‘বংশানুক্রমিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিক’ এবং তিনি রাষ্ট্রহীন নন। এর বিরুদ্ধে আবেদন করে শামীমা বেগমের আইনজীবী তাকে দেশে ফিরতে দেয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকাজ হয় এমন আংশিক-গোপন আদালতে একটি ট্রাইবুনাল রায় দেয় যে যেহেতু শামীমা বেগম রাষ্ট্রহীন অবস্থায় নেই, তাই তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া যাবে।

 

সেই বিশেষ ‘ইমিগ্র্যান্ট অ্যাপিলস কমিশন’ মন্তব্য করেছে যে- শামীমা বেগম বাংলাদেশে নাগরিকত্ব চাইতে পারেন।শামীমা তার মা’য়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের আবেদনও করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়- শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন এবং তাকে ‘কোনোভাবেই’ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে পররাষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930