সিলেট ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টারঃঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে বশির আহমদ হত্যা মামলায় ২৪ বছর পর ২ আসামীর যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা দায়রা ৩য় আদালত তাদের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। সাজা প্রাপ্তরা হচ্ছে, বালাগঞ্জ উপজেলার অজিত শুক্লবৈদ্য (৫০) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মুসলিম মিয়া (৪৮)।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১৭ জুন রাতে অজিত শুক্লবৈদ্য তার ভাতিজা অসুস্ত বলে উপজেলার ব্রাম্মন গ্রাম গ্রামের মস্তফা মিয়ার পুত্র বশির আহমদকে অজিত শুক্লবৈদ্যের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউনিয়নের সোনাপুর নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এসময় অজিতের সাথে থাকা মুসলিম মিয়া ও বশির মিয়া তিনজন নৌকা নিয়ে সোনাপুরের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হন। পরিকল্পিত ভাবে কালাশাড়া হাওরে যাওয়ার পর নৌকার বৈঠা দিয়ে বশির আহমদের মাথায় আঘাত করতে থাকে দুইজন। এসময় বশির আহমদ আহত হলে বিভিন্ন ভাবে ঘাঁ দিয়ে তার মুত্যু নিশ্চিত করে কালাশাড়া হাওয়রে কুচোড়ি পেনা দিয়ে লাশ গুম করে চলে যায় দুই হত্যাকারি। পরদিন তাদের দেওয়া তথ্যমতে কুচুরি পেনার নিচ থেকে বশির আহমদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন নিহতের মামা মাহমদ আলী বাদি হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজিত শুক্লবৈদ্য ও মুসলিম মিয়া কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে এ মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন সাজা হলে ২০০৭ সালে উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান আসামীরা। জামীন পাওয়ার পর থেকে মুসলিম মিয়া পলাতক রয়েছেন। এবং আজ বৃহস্পতিবার মামলার বিচার কাজ শেষে আদালতে উপস্থিত থাকা অজিত শুক্ল বৈদ্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অবশেষে দির্ঘ ২৪ বছর পর বৃহস্পতিবার বশির আহমদ হত্যা মামলায় আবারও দুই আসামীর যাবজ্জীবন প্রদান করেন আদালত।
মামলার রায়ে খুশি জানিয়ে হত্যা কান্ডে নিহত বশির আহমদের ছোট ভাই হেলাল আহমদ বলেন, দির্ঘ ২৪ বছর পর আবারও আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার বিচার হয়েছে। আসামীদের সাজা হওয়ায় আমাদের ২৪ বছরের চাপা ক্ষোভের অবসাহ হলো। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি পলাতক মুসলিম মিয়াকে খুজে বের করার জন্য।