বিদ্যুৎ বিহীন কমলগঞ্জ,ভোগান্তিতে গ্রাহক

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০

বিদ্যুৎ বিহীন কমলগঞ্জ,ভোগান্তিতে গ্রাহক

প্রতিনিধি /মৌলভীবাজারঃ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে কাজের অজুহাত দেখিয়ে ঘোষণা ছাড়াই আট ঘন্টা এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরও দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে চা বাগান, বিভিন্ন মিল কারখানাসহ অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহকেরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারী) বুধবার সকাল পৌণে ৮টা থেকে বিকাল পৌণে ৪টা পর্যন্ত জোনাল অফিসের অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

 

যায়, এই অফিসের অধীনস্থ প্রায় ৯২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। কমলগঞ্জ ছাড়াও কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার একাংশ সম্পৃক্ত রয়েছে। পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চা বাগান কারখানা, বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, হাটবাজারে মিল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসিয়েল নানা কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক নাগাড়ে গত দু’দিনে প্রায় ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা কারখানাগুলো।

 

 

ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, ভানুগাছ বাজার ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, শমসেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোত্তাকিন, বদরুল ইসলাম, রফিক মিয়া, কলেজ শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা, সোয়েব আহমদ বলেন, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ব্যবসা ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মোটেও টিক হয়নি বলে তারা দাবে করেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে বর্তমানে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।

 

 

তারা আরও বলেন, দুইদিনে ১০ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। এসময়ে অফিসে কারন জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করেন না। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা ও পড়াশুনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

 

অভিযোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গণেশ চন্দ্র দাশ বলেন, ঠিকাদাররা বিদ্যুৎ লাইনে কাজের জন্য শ্রীমঙ্গল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা থাকায় পূর্ব থেকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। তবে তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল থেকে সরবরাহ সমস্যা হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930