সিলেট ৭ই জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃ
সাম্প্রতি দেশে র্যাবের অভিযানে আটক হয় নরসিংদীর যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন এবং সহযোগীরা তারপর গণমাধ্যমের প্রকাশিত হতে থাকে তাদের গুরুতর সব অপরাধের খবর। জাল টাকা রাখা, অস্ত্র ও মাদকের মামলায় তাদের নেওয়া হয় পুলিশি রিমান্ডে। এদিকে দেশজুড়ে এমন খবর চাউর হতেই প্রতিবাদি হয়ে ওঠে সুশিল সমাজ। নানা খবর প্রকাশিত হওয়াই পাপিয়াকে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। বিশেষ করে পাপিয়ার সঙ্গে সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মন্ত্রীদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়াই সৃষ্ট্রি হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির। এরপর নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুব মহিলা লীগ শামিমা নূর পাপিয়াকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে।এদিকে, দেশে পাপিয়া কান্ডের পর, পাপিয়া নাম নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি তারা নবজাতীকার নাম পাপিয়া রাখতে চাইছেন না।
ঢাকা মেডিকেলের প্রসুতি ওয়ার্ডে গিয়ে বি-বাড়িয়া থেকে আগত সোহেলি আখতারে কাছে কন্যাসন্তানের নাম পাপিয়া রাখবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন অপরাধীর আমার সন্তানের নাম রাখব না। হাসপাতালের অন্য মায়েদের কাছে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ঝিনাইদহের রুপা বেগম বলেন, সন্তানের নাম নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেশের প্রচলিত আইনে কোন অপরাধির নামে সন্তানের নাম রাখলে সে মনস্তাত্বিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে পারে।
এব্যাপারে জাতীয় মাসসিক স্বাস্থ ইন্সট্রিটিউটের অধ্যাপক ডাঃ তাইজুল ইসলাম বলেন, কোন ব্যাক্তির অপরাধ যখন ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে তখন তার নামের প্রতি মানুষের মধ্যে ঘৃণা জন্মে। মানুষ দুর্ণামের ভার নিতে চাইনা তাই অপরাধীর নাম সন্তানদের রাখতে অনিহা দেখায়। এছাড়া অপরাধীর নাম শিশুদের রাখলে তারা সমাজে বা শিক্ষা স্থলে সহপাঠি অথবা সহকর্মীদের দ্বারা কটুক্তির শিকার হতে পারে বলে।