সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
প্রতিনিধি/সুনামগঞ্জঃ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধকালীন সময়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থান পরিদর্শন করতে ছাতকে এসেিেছলেন চেলা ও ভোলাগঞ্জ সাব সেক্টরের দু’কমান্ডারসহ চারজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। শুক্রবার ছাতক ও দোয়ারা উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের বেশ কটি উল্লেখযোগ্য স্থান পরিদর্শন করেন তারা।
বিকেলে চরমহল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়ার বাড়িতে স্থানীয়দের সাথে কুশল বিনিময় শেষে তারা মধ্যাহ্ন ভোজে মিলিত হন। ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে ঢাকা থেকে সড়ক পথে ছাতকে আসেন চেলা সাব-সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্ণেল(অব) হেলাল উদ্দিন, ভোলাগঞ্জ সাব সেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর, লেঃ কর্ণেল(অব) আব্দুর রউফ বীর বিক্রম ও মেজর(অব) মাসুদ আহমদ। পরে তারা ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রাখা-রসুলপুর গ্রাম ও দোয়ারা উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামসহ যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন এবং এসব এলাকার প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে তারা যুদ্ধকালীন সময়ের বিভিন্ন গল্প তুলে ধরেন। চেলা সাব-সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্ণেল(অব) হেলাল উদ্দিন জানান, পাক সেনাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তারা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেন।
এর অংশ হিসেবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সিলেট- সুনামগঞ্জ সড়কের জাউয়াবাজার ব্রীজ ও ডাবর এলাকায় বড় ধরনের অপারেশন করতে তার নেতৃত্বে শ্রীপুর গ্রামে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তিতে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ঝাওয়া এলাকা ও লালপুল ব্রীজে অপারেশন করতে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রাখা-রসুলপুর গ্রামে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। উভয় অপারেশন তার নেতৃত্বেই হয়েছিল বলে তিনি জানান। অপারেশন সফল করতে এসব এলাকায় বেশ কয়েকদিন তাদের থাকতে হয়েছে। যে কারনে যুদ্ধকালীন সময়ের এসব এলাকার কথা তার মনে বাসা বেঁধে আছে। তাই এসব এলাকা পরিদর্শনের জন্য তিনি বারবার এখানে এসেছেন। পরিদর্শনকালে মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খছরু, মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা ক্বারী আব্দুল জলিলসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।