সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০
বিনোদন ডেস্কঃঃ
৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানছেন ঢাকাই জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। গত ২৬ জানুয়ারি তিনি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সেই তালাকের খবর ও উকিল নোটিশ দেশীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়েছে। আর এ নিয়ে চটেছেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা।
অস্ট্রেলিয়া থেকেশাবনূর বলেন, ‘বিষয়গুলো ব্যক্তিগত। এটি প্রকাশ্যে এলো কীভাবে? আমি তালাকের যে নোটিশটি ইস্যু করেছি, অনুমতি ছাড়া কেউই তা প্রকাশ্যে আনতে পারে না। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, এটা কীভাবে প্রকাশ হলো? জানতে চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমিও তো একজন মানুষ, আমারও পরিবার আছে। সমাজ নিয়েই আমাদের চলতে হয়। তালাকের খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর মিডিয়ার ও পরিচিতজনরা ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব নিয়ে কথা বলা বিব্রতকর।
বিচ্ছেদ পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে শাবনূর বলেন, ‘মানুষের ভাগ্য সব সময় এক রকম হয় না। সংসার হয়নি, হয়তো এটা আমার ভাগ্যে ছিল না। আমি এখন সন্তান (আইজান নিহান) নিয়ে ভাবছি। ওর ওপর এসবের কোনো প্রভাব পড়ুক তা আমি চাই না। ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই হবে এখন আমার মূল কাজ। এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই।
এদিকে, শাবনূরের আইনজীবী কাওসার আহমেদ ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তার মাধ্যমে তালাকের নোটিশ প্রকাশ্যে আসেনি। তিনি কাউকে শাবনূরের তালাকের বিষয়ে কোনো তথ্যও দেননি।
বিয়ের পর থেকে স্বামী অনিকের সঙ্গে তার ‘বনিবনা হয় না’। তাই গত ২৬ জানুয়ারি তিনি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ও সুস্থ মস্তিস্কে স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করছেন। আর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন-এর ৭ (১) ধারামতে শাবনূর তালাক চেয়েছেন।
নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিস কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাবনূর। স্বামী যশোরের ছেলে অনিক মাহমুদ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং পেশায় ব্যবসায়ী। বিয়ের পরের বছরই এ দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে এক পুত্রসন্তান। ছেলে আইজান নিহানকে নিয়েই শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।