সিলেট ২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটির বেশি বাংলাদেশি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সেসব দেশেও তারা সেখানকার মানুষের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন। তারা অংশগ্রহণ করছেন মূলধারার রাজনীতিতে। হয়েছেন সফলও। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন-
আজহারুল ইসলাম অভি
কাউন্সিলর, সাউথ ওয়েলস অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কোনো বাংলাদেশি নারী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সাবরিনা ফারুকি অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির (এএলপি) প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন। এই নির্বাচনে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস (এসএসডব্লিউ) আইন পরিষদের একটি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রুশনারা আলী ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
টানা চারবারের জয়ী রুশনারা আলী। রুশনারার জন্ম সিলেটের বিশ্বনাথে। ৭ বছর বয়সে তিনি মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তাদের বসতি পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
২০০৭ সালে এপ্রিলে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বাউ এলাকার জন্য নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের ৬ মে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১১ হাজার ৫৭৪ ভোট বেশি পেয়ে। তিনি হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশি এবং ২০১০ সালে নির্বাচিত প্রথম ৩ জন মুসলিম নারী এমপির অন্যতম। পরে ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন- কোয়ালিশন সরকার ইরাকের এইএসএইএলের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, তা তিনি মেনে নিতে পারেন না। তিনি মনে করেন- যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়, বরং এ ধরনের যুদ্ধ আরও রক্তাক্ত আগামী তৈরি করবে। তবে তার দলপ্রধানের জন্য পদত্যাগপত্রে শুভকামনা করেন এবং জানান- তিনি বিশ্বাস করেন, আগামী নির্বাচনে তার দল জিতবে। তবে মজার বিষয় হয়েছে, একই আসন থেকে টানা চতুর্থ মেয়াদে বিজয় তুলে নিয়েছেন তিনি।
যত দিন গেছে, তার জনপ্রিয়তা তত বেড়েছে। প্রথমবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তার ভোটের পার্থক্য ছিল ১১ হাজার ৫৭৪। শেষবার তিনি কনজারভেটিভ দলের নিকোলাস স্টোভোল্টকে হারিয়েছেন ৩৭ হাজার ৫২৪ ভোটে। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫২টি। ভোটের ব্যবধান ধরলে এটি একটি রেকর্ড। ‘বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো’ পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের একটি আসন।
এই এলাকার ৩৩ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশি। অভিবাসী অধ্যুষিত এ আসন লেবার পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটে এই আসনের প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। রুশনারা আলী সংসদে ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে জোরালো ভ‚মিকা রাখেন। লেবার দলকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে মনে করেন এই এমপি।
টিউলিপ সিদ্দিক, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক
১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। জানা গেছে, ছোটবেলায় ঢাকায় স্কলাস্টিকা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পরে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও কিংস কলেজে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। ১৬ বছর বয়স থেকে তিনি লেবার দলের সদস্য। ২০১০ সালে লন্ডনের ক্যামডেন বারার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালে এমপি পদে লেবার পার্টির মনোনয়ন পান। উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের অভিজাত এলাকা হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে জয় ছিনিয়ে এমপি হিসেবে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে মাত্র ৪২ ভোটের ব্যবধানে আসনটি জিতেছিল লেবার পার্টি।
২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এ আসন ধরে রাখার দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। ওই বছর জয় তো পানই, ব্যবধানও বাড়িয়ে নেন রক্ষণশীল দলের প্রার্থীর সঙ্গে। ২০১৫ সালে তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিপরিষদে সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হন। গত নির্বাচনে তিনি দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের জনি লাকের চেয়ে।
২০১৬ সালের গণভোটে তার আসনের ৭৫ শতাংশ ভোটার ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তাই ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে সোচ্চার তিনি। সংসদ ও সংসদের বাইরে ব্রেক্সিটবিরোধীদের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। ‘ওপেন ব্রিটেন’ ও ‘বেস্ট ফর ব্রিটেন’ নামে ইইউপন্থি সংগঠন ২০১৭ সালের নির্বাচন থেকে তাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের লেবার পার্টির ছায়া শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
রূপা হক, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ী রূপা হক। তার বাবা মুহম্মাদ হক ও মা রোশান আরা হক। তারা ১৯৬০ সালে সন্তানদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার কথা চিন্তা করে অভিবাসী হয়ে ব্রিটেনে যান। পাবনা শহরের মকসেদপুরে ছিল তার বাবার বাড়ি। তার মায়ের বাড়ি কুঠিপাড়া। বার্মিংহামের কুইন্স শার্লটস হসপিটালে জন্ম হয় তার। ১৯৮০ সালে আট বছর বয়সে বিবিসির স্কুল প্রোগ্রামে তিনি অংশ নেন।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি নেন। ১৯৯৯ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার বিষয়বস্তু ছিল পর্যায়ে যুব সংস্কৃতি। ২০০৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি কিংসটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পড়িয়েছেন।
মিডিয়া ও কালচারাল স্টাডিজ বিষয়েও পড়িয়েছেন। কিংস্টন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক তিনি। টিউলিপের মতোই তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাঙালি নারী রূপা হক। লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে গত নির্বাচনে ১৩ হাজার ৩০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। তার পুরো নাম রূপা আশা হক। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা লন্ডনের ইলিং এলাকাতেই।
আফসানা বেগম, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
প্রথমবারের মতো এমপি হলেন আফসানা বেগম। তার পূর্বপুরুষরা থাকতেন অধুনা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে। তার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের সিভিক মেয়র ছিলেন। তিনি ছিলেন জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে আফসানা বেগমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে। তিনি লেবার পার্টির লন্ডন রিজিয়ন শাখার সদস্য। টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকারই আরেকটি আসন পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস। এ আসন থেকেই ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হন নবাগত আফসানা বেগম। ২৮ হাজার ৯০৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন কনজারভেটিভ দলের শন ওককে। পূর্ব লন্ডনের এই আসনও লেবার দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
প্রায় দুই দশক ধরে আসনটির এমপি ছিলেন লেবার পার্টির জিম ফিটজপেট্রিক। তিনি অবসরে যাওয়ার পর নতুন প্রার্থীর খোঁজে নামে লেবার পার্টি। একপর্যায়ে এ আসনে নারী প্রার্থী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় লেবার পার্টি। অনেকটা চমক জাগিয়ে দলের মনোনয়ন পান রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ আফসানা বেগম। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আবাসন বিভাগে চাকরি করেন তিনি এবং লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সহ-সভাপতি ও লন্ডন আঞ্চলিক শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য। বাংলাদেশের এই নারীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা টাওয়ার হ্যামলেটসেই। আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।
শেরওয়ান চৌধুরী , ক্রয়ডন কাউন্সিল যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ক্রয়ডন কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের শেরওয়ান চৌধুরী। জকিগঞ্জের আটগ্রাম এলাকার চারিগ্রামের আবদুর রকিব চৌধুরীর পুত্র তিনি। ১৯৭৬ সালে পাড়ি দেন যুক্তরাজ্যে। দেশে থাকা আহবায়ক সিলেট সরকারি কলেজে অধ্যয়ন করেন। একই সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। রাজনীতির ওই ধারা সুদূর লন্ডনেও ধরে রাখেন তিনি।
১৯৯০ সালে লেবার পার্টিতে যুক্ত হয়ে সক্রিয় রাজনীতির অধ্যায় শুরু করেন। মাত্র ৪ বছর পরই ১৯৯৪ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ক্রয়ডনের বেউলা ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে কাউন্সিলর হিসেবে জয়ের মুকুট মাথায় নেন। ওই পথেই একজন সফল কাউন্সিলর হিসেবে লাভ করেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এর পর ২০০৬ সালে নরবারি ওয়ার্ড থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন কাউন্সিলর।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ক্রয়ডন কাউন্সিলে কাউন্সিলর রয়েছেন ৭০ জন। একজন মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের মধ্যে নির্বাচিত করা হয় একজন ডেপুটি মেয়র। তার দল লেবার পার্টি থেকে ডেপুটি মেয়রের জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এর পর কাউন্সিল অধিবেশনে ডেপুটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হয় তাকে।
এক বছরের জন্য ক্রয়ডন কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। কাউন্সিলর শেরওয়ানের স্ত্রী রহিমা চৌধুরী দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন ক্রয়ডনের স্থানীয় একটি স্কুলে। তাদের সংসারে এক কন্যা ও দুই পুত্র রয়েছেন। যুক্তরাজ্যের জকিগঞ্জের বাসিন্দাদের মধ্যে কাউন্সিলর হিসেবে একমাত্র ব্যক্তি হলেন তিনি। বারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তিনি এক আলোকিত কৃতিমান।
কানাডিয়ান পার্লামেন্ট, ডলি বেগম
কানাডার পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশি ডলি বেগম। অন্টারিও প্রদেশের টরন্টো এলাকার একটি আসন থেকে এমপিপি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তিনি প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী গ্রে এলিয়েসকে প্রায় ৬ হাজার ভোট ব্যবধানে পরাজিত করেন। ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ডলির প্রাপ্ত ভোট ১৯ হাজার ৭৫১। কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী গ্রে এলিয়েস পান ১৩ হাজার ৫৯২ ভোট। নির্বাচনে তার এ জয়কে সবাই দেখেছেন বাংলাদেশি মেয়ের কানাডা বিজয় হিসেবে।
এর আগে কোনো বাংলাদেশি কানাডার কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি। প্রথমবারের মতো অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে শুধু কানাডায় নয়, পুরো বিশ্বের বাংলাদেশিদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কানাডায় আসেন। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে তিনি ২০১২ সালে টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। আর ২০১৫ সালে টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে করেন মাস্টার্স।
ফয়ছল হোসেন চৌধুরী, স্কটিশ পার্লামেন্ট
স্কটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভ‚ত সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বদরদি গ্রামের ফয়ছল হোসেন চৌধুরী। স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে লোদিয়ান রিজিওনাল লিস্টের প্রার্থী ছিলেন। ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইট অ্যাকটিভিস্ট ফয়ছল চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে লেবার পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। লেবার পার্টি থেকে ২০১৭ সালে ওয়েস্ট মিনিস্টার পার্লামেন্ট নির্বাচনে এডিনবরা সাউথওয়েস্ট আসনে লড়াই করেন।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে স্কটিশ রেফারেন্ডাম চলাকালে ‘বাংলাদেশিজ ফর বেটার টুগেদার ক্যাম্পেইন’-এর সমন্বয়কারী ছিলেন। ঐতিহাসিক গণভোট ও অন্যান্য মূলধারার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিকে যুক্ত করতে তার উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রয়েছে। তার বাবা মো. গোলাম রব্বানী চৌধুরী। মা-বাবার সঙ্গে তরুণ বয়সেই পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। প্রথমে ম্যানচেস্টার এবং পরে এডিনবরায় বসবাস শুরু করেন। বিভিন্ন সংখ্যালঘু কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভ‚মিকা রয়েছে তার। এ জন্য ২০০৪ সালে ব্রিটেনের রানির দেওয়া ‘এমবিই’ খেতাবে ভূষিত হন তিনি।