নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-৮

প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-৮

বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জঃঃ

 নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক পাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।

 

দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাঁ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে উক্ত মামলায়।

 

সংঘর্ষ টেকাতে গিয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক পাল, এএসআই বিজু সিংহ, কনস্টেবল এহসান মাহবুব জুবায়ের, শরীফুল ইসলাম, সুমন মিয়া গুরুত্বর আহত হন। পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গভীর রাতে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মামলার বাদী এসআই অনিক পাল জানান।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়ন মাথুরাপুর গ্রামের মৃত সাইফ উল্লার পুত্র জিতু মিয়া (২৮), ছায়েদ মিয়ার পুত্র ঝুমন মিয়া (২২), মো: সামছু মিয়ার পুত্র আকিকুর রহমান (২২), মৃত মুহিব উল্লার পুত্র মো: মাহমুদ মিয়া (২৮), মৃত তছর উদ্দিনের পুত্র শরীফ উদ্দিন (২৩), মো: সমছু মিয়ার পুত্র মো: এমদাদুর রহমান (১৯), মো: লেচু মিয়ার পুত্র মো: ইব্রাহিম মিয়া (২৫), মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মো: লায়েক মিয়া (৩২)কে গ্রেফতার করা হয়।

 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীর সাধারণ ডায়েরী মূলে নবীগঞ্জ থানাধীন ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের দীঘলবাক এলাকায় মাদক উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় পুলিশ।

 

এসময় হঠাৎ করে রাত অনুমান ১০টা ১৫ মিনিটের সময় মথুরাপুর বাজারে অবস্থানকালে সংবাদ পুলিশের কাছে সংবাদ আসে মথুরাপুর সাকিনে জনৈক লেবু মিয়ার দোকানের সামনে কাঁচা রাস্তার উপর পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে মঈন উদ্দিন ও লাল মিয়া গংদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারি করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। এ সংবাদ পেয়ে ইনাতগঞ্জ থানা পুলিশ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। এবং রাত অনুমান সাড়ে ১০টা সময় ঘটনাস্থল নবীগঞ্জ থানাধীন দীঘবাক ইউনিয়নের অন্তর্গত মথুরাপুর সাকিনস্থ জনৈক লেবু মিয়ার দোকানের সামনে কাঁচা রাস্তার উপর পৌঁছে দেখা যায় উভয় পক্ষের ২০/২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দা, রামদা, লাঠি, ফিকল, টেটা, ইট-পাটকেল ইত্যাদি অস্ত্রাদি নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে ইটের ঢিল ছুড়াছুড়ি করছে।

 

এতে পুলিশ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সদের নিয়া উভয় পক্ষকে দাঙ্গায় লিপ্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু উভয় পক্ষের লোকজন পুলিশের কথায় কোন কর্ণপাত না করে এক পক্ষ অপর পক্ষের খুব কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে মারামারি শুরু করে। সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হিমশিম খায়।

 

 

এক পর্যায়ে সংঘর্ষকারীরা পুলিশের ওপরও আক্রমণ করে। হঠাৎ করে বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ শুরু করে। হামলাকারীদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে অভিযানে থাকা ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক পাল ও এএসআই বিজু সিংহ সহ ৫ পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হন।

 

আহত পুলিশ সদস্যদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) গোলাম মুর্শিদ সরকার বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাঁ দেওয়ায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় উভয় পক্ষের ৮ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় ঐ এলাকার লোকজন হামলা, মামলা ও পুলিশ আতংকে রয়েছে।

Spread the love

আর্কাইভ

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031