ছাতক  উপজেলা নির্বাচন: ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৪

ছাতক  উপজেলা নির্বাচন: ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

প্রতিনিধি/ছাতকঃঃ
ছাতকে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন প্রার্থীই তাদের নির্বাচনী জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছে ৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। প্রত্যেক প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের একটি নির্দিষ্ট পরিমান ভোট তার অনুকুলে না থাকলে তিনি তার নির্বাচনী জামানত ফেরত পাবেন না বা বাজেয়াপ্ত হবে ।

 

নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকেই ভোটার কর্তৃক প্রদত্ত মোট ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ ভাগ ভোট পেতে হবে। যেসব প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ ভাগ ভোট পাবে না তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এখানে সদ্য সমাপ্Í উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

 

২৯ মে অনুষ্ঠিত ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ভোট পড়েছে ৯২৩৫২ টি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জামানত রক্ষায় প্রত্যক প্রার্থীকে সর্বনিন্ম ১১৫৪৪ ভোট পেতে হবে। এ হিসাব অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাদাত লাহিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৫০ ভোট, মাহমুদ আলী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫৭২ ভোট এবং আমজদ আলী হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২০৭৪ ভোট। এ তিন প্রার্থীই ভোটার কর্তৃক প্রদত্ত ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তারা তাদের নির্বাচনী জামানত ফেরত পাবেন না। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৯১৮৫০ টি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জামানত রক্ষায় প্রত্যক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সর্বনিন্ম ১১৪৮১ ভোট পেতে হবে। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইজাজুল হক রনি বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে পেয়েছেন ১১১৪১ ভোট, আতাউল হক বই প্রতীকে পেয়েছেন ৮১৯৩ ভোট, আফজল হোসেন মাইক প্রতীকে পেয়েছে ৮১৭৭ ভোট, নজরুল ইসলাম টিয়া পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪৮৩ ভোট, আব্দুল জব্বার খোকন উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছে ৫৩০৫ ভোট, রকিব আহমদ তালা প্রতীকে পেয়েছে ৩১৮১ ভোট, আব্দুল্লাহ আল মামুন পালকী প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৮১ ভোট এবং শহীদুজ্জামান টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট। তারা কেহই নির্বাচনে ভোটার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধ ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ ভাগ ভোট পাননি। ফলে তারাও তাদের জামানত ফেরত পাবেন না।

 

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, জামানত হল নির্বাচনী নিরাপত্তাজনিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, যা রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে জমা দিতে হয়। টাকা জমাদানের প্রমাণ স্বরূপ ট্রেজারি চালান বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল অর্ডার জমা দিতে হয়। একটি নির্বাচনী এলাকায় যত ভোট পড়ে তার শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট প্রার্থীরা যদি না পান তাহলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।

Spread the love

আর্কাইভ

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30