সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
এম এম এ রেজা পহেল/ধর্মপাশাঃঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের বেহাল দশার কারনে জনগনের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে এসে পৌছেছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গরে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। ছাত্র ছাত্রীরা লেখা পড়া করতে পারছেনা, অফিস আদালত থেকে শুরু করে ডিজিটাল সেবা বেঘাত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই এলাকার মানুষ। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, দেখা দিচ্ছে নানানরকম অসুখ।
তাছাড়া বিদ্যুৎতের ভূতুড়ে বিল, মিটার বিল,ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ ও ৭৫ ইউনিটের পরে গেলে ২.৫০ টাকা বারতি এড করা নিয়ে মানুষের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমান অন্তরবর্তকালীন সরকারের কাছে বিদ্যুৎতের লাগামহীন দূর্নীতির সংস্কার করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
চকিয়াচাপুর গ্রামের বাসিন্দা মির্জা রেজাউল কবির রেজু বলেন, আমাদের ৩ নাম্বার লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা, অফিসে ফোন দিলে বলে জাতীয় গ্রেট থেকে না দিলে আমরা কিভাবে দিবো? আমাদের সরকারের কাছে দাবি আমাদেরকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেন।
গাছতলা বাজারের ব্যবসাহী মোঃ সাদেক খান বলেন, আমাদের এখানে সাব স্টেশন থাকার পরেও বিদ্যুৎ পাইনা। তাছাড়া প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জ,ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া সহ বিভিন্ন ক্রস দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই গোলো বন্ধ করে সঠিকভাবে ভাবে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
ধর্মপাশা উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা এ জি এম মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমার এখানে দুটি উপজেলার জন্য মোট ৮ মেঘ ওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন, আমি পাই ৩ মেঘওয়াট, কিভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করব। আমি উপরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি ৮ মেঘ ওয়াট বিদ্যুৎ এখানে দেওয়ার জন্য। জাতীয় গ্রেডে সমস্যার কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হবে। পরে সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারব।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ইতিমধ্যে নেত্রকোনা জি এম সাহেবের সাথে ধর্মপাশা উপজেলার বিদ্যুৎতের লোডশেডিং নিয়ে কথা বলেছি। আমি আবার কথা বলব যাতে তাড়াতাড়ি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে।