এম এ কাদির, বালাগঞ্জঃঃ
বালাগঞ্জে বহুল আলোচিত উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে ভোট কেন্দ্রে গুলি করে হত্যা মামলায় পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. খলকু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার আজিজপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া খলকু মিয়া উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বালাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহমদ।
বহুল আলোচিত ভোট কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ সুহেল হত্যা কান্ডের পর থেকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে সিলেট জেলা ও বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অঙ্গসংগঠন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শনিবার এজাহার নামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মুজিবুর রহমান যুগ্ন সম্পাদক তোফায়েল আহমদ সুহেল ও মামলার বাদি শহিদ সায়েম আহমদ সুহেলের চাচত ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ লুৎফুর রহমান তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানান স্বৈরশাসকের কবল থেকে দেশ রক্ষায় জাল ভোট প্রদানে বাধানিষেধ করায় দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েমের লক্ষে পরিকল্পিত ভাবে মেধাবী দেশ প্রেমিক ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ সুহেল কে হত্যা করা হয়েছিল। নেতৃবৃন্দ দ্রুত তদন্ত পূর্বক হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহমদ বলেন, সুহেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. খলকু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।
সুহেল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, মো. খলকু মিয়া সুহেল হত্যা মামলার ৫ নম্বার আসামি। তাকে আজিজপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করায় বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে নিহত সায়েম আহমদ সুহেলের চাচাত ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে ০৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা (সি আর মামলা নং ০২ /২০১৯) দায়ের করাবহয়।