সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
যুক্তরাজ্য বসবাস করলেও নিজ এলাকার সামগ্রীক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান । সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষানুরাগী সচেতন মহলের ঐকান্তিক প্রয়াসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিয়ানীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়। কয়েকজন উদীয়মান উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় ২০২২ সালে ষষ্ঠ শেণীর পাঠদানের মধ্য দিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে (গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরীতে) শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর থেকে বিদ্যালয়ের ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন দেখা দিলে দেশ ও প্রবাস থেকে এগিয়ে আসেন দাতা সদস্যরা। যার ধারাবাহিকতায় বিয়ানীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে এগিয়ে এসেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ।
বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন পর্যায়ে দাতা সদস্যরা বিপুল পরিমাণ সহযোগিতা দিয়ে বিদ্যালয়ের ভূমি ক্রয়সহ অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসেন। ফলশ্রুতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫ সালে নিজস্ব স্থাপনায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরে অবিস্থত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পিএইচজি হাইস্কুল ২০১৮ সালে সরকারি করন হয়। সরকারি করন হওয়ার পর বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির আসন সীমিত হয়ে ১১০ জন ধার্য্য হয়। তন্মধ্যে ৫৫জন ছাত্র ও ৫৫ জন ছাত্রী কোটা নির্ধারিত হয়। এই অবস্থায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি ইচ্ছুক পৌরসভা অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাধারন ছাত্র ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের কেউ কেউ বৈরাগীবাজার, মাথিউরা কিংবা মুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আবার অনেক ছাত্র ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ঝরে পড়ে শিক্ষা জীবন থেকে। কারন গোটা পৌরসভা ও ঘুঙ্গাদিয়া-বড়দেশ অঞ্চলের মধ্যে খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতন ছাড়া আর কোন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় নেই।
তবে, পৌরশহরে মধ্যে কিন্ডার গার্ডেন আদলের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, কিন্তু এগুলো তুলনামূলক ব্যয়বহুল। কঠিন এই বাস্তবতায় সময়ের প্রয়োজনে, ঝরে পড়া সাধারন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার তাগিদে এগিয়ে আসেন বিয়ানীবাজারের শিক্ষানুরাগী একদল সচেতন মহল। তারা সময় উপযোগী সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন ‘বিয়ানীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়’ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় শিক্ষানুেরাগীরা জানান, যুক্তরাজ্যে বসবাস করেও এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে সব সময় সহায়তার হাত নিয়ে এগিয়ে আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এমন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তারা।