সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
দীর্ঘ ১৬ বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় জামিন পাওয়া বিডিআর সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মোট ১৬৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ জন আসামির নাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১৬৮ জনের তালিকা হাতে পেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ১৬৮ জনের তালিকা হাতে পেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এরপরই বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
কারগার সূত্রে জানা যায়, মুক্তি পাওয়া মোট ১৬৮ জন বিডিআর বন্দীর মধ্যে কাশিমপুর-১ হতে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ হতে ৮৯ জন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি হতে ১২ জন। আর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মোট ৪১ জন বিডিআর বন্দী সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলা ও হত্যা মামলার বিচারক একটি রায় দেন। সেখানে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ছাড়া বাকিদের জামিনের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন হাইকোর্টে। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। পাশাপাশি আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। আর খালাস পান ২৮৩ জন।
ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় দিয়েছে সরকার।