রাজনগরে বিএনপি’র কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১২

প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

রাজনগরে বিএনপি’র কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১২

লন্ডন বাংলা ডেস্ক ::

রাজনগরে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলি ছোড়া হয়েছে বলে উভয়পক্ষ দাবি করেছে। ঘটনাস্থলে দুটি গাড়ি ও ২-৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজনগর কলেজ পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নেতারা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজনগর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটিকে সকল ইউনিয়নে সভা করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই আলোকে কয়েকটি ইউনিয়নে কমিটি করতে উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী সভা করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কামারচাক, টেংরা, রাজনগর ইউনিয়নের কমিটি করতে সভা করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছাত্রদল নেতা মাহবুব আল জামালের নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী কলেজ পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

 

বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম সেলুন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনগর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভা শেষে কলেজ পয়েন্টে গেলে তাদের উপর হামলা করা হয় বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান মনসুরনগর ইউনিয়নে অবস্থান করা নেতাকর্মীদের দেখতে আসেন। তিনি আহতদের চিকিৎসা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

 

এদিকে সংঘর্ষের পর সন্ধ্যারাতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ ও সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আল জামালের নেতৃত্বে উভয়পক্ষ রাজনগর বাজার ও কলেজ পয়েন্টে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

 

উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আল জামাল বলেন, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের কমিটিতে রাখা হচ্ছে না। কলেজ পয়েন্টে সবাই মিলে একটি সমাবেশ করার কথা ছিল। হঠাৎ নূরুল ইসলাম সেলুন, এনামুল হক চৌধুরী ও পাপলু মেম্বারের নেতৃত্বে আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা করা হয়।

 

বিএনপির এক নেতা গাড়ি থেকে বের হয়ে আমাদের উপর গুলি ছুড়েছেন। এসময় আমার ৫-৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনগরবাসী ৮-১০ জন মানুষের কাছে জিম্মি। এদের আধিপত্যের রোষানলে পড়ে সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারে না। উপজেলা নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি করছেন। ছাত্রদলের কিছু ছেলে নুরুল ইসলাম সেলুন ও আমার গাড়িতে হামলা করে। তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। হামলায় আমাদের ৬-৭ জন আহত হয়েছেন।

 

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামি আহমদ বলেন, আমি অসুস্থ। এব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদুল হাসান খান বলেন, এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

Spread the love