প্রতিনিধি/ওসমানীনগরঃঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে প্রচারপত্র বিতরণ কালে নিজের গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনী তাহসিনা রুশদির লুনা।

ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাহসিনা রুশদির লুনা বলেন, বিগত দুই বছর পূর্বে গোয়ালাবাজারে শান্তিপূর্ন প্রচারপত্র বিতরণে আসলে আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশ নিয়ে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। এসময় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আহত হন। আমি সে দিন মিডিয়ায় বলেছিলাম, বাংলাদেশে একদিন আওয়ামী লীগ থাকবে না, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীও থাকবে না, পুলিশ ভাইয়েরা আপনারা সরকারি চাকরী করেন আপনারা নিরপেক্ষ থাকেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরে কোন ধরণের ভূয়া মামলা দেই নাই। মামলা হয়েছে আমার গাড়ি ভাংচুরে যারা জড়িত-সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে লুনা বলেন, গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতরা কেন এখনো গ্রেফতার হলো না? মামলার আসামীরা কোথায় আছে? তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করবেন। না হলে আপনাদের সম্পর্কেও আমাদের বক্তব্য আছে। সুতরাং এখনি সতর্ক হন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে লুনা বলেন, আওয়ামী লীগ যে কাজ করে পালিয়েছে, আমরা সেই কাজ করতে চাই না। কোন দখলবাজি, চাঁদাবাজী অথবা অপকর্মের সাথে লিপ্ত না হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন যদি কেউ লিপ্ত হয় তবে, সেই দায় দল নিবে না। গত দেড় দশকে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী শাসনামলে কর্তৃত্ববাদ, বর্বরতা, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রক্তাক্ত তান্ডবের প্রাথমিক অবসান হলেও জনগণের চুড়ান্ত বিজয় এখনও আসেনি। বিজয়ের একধাপ পূর্ণ হয়েছে মাত্র। সামনে আরো একটি ধাপ রয়েছে। পূর্ন বিজয় অর্জন করতে শান্তিপূর্ন ভাবে দলের জন্য কাজ করার আহবান জানান তিনি।

১৬ মার্চ রবিবার উপজেলার উত্তর গোয়ালাবাজারে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়নূল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস.টি এম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মন্নান বক্স।

সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সোহেল ও উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক রকিব আলীর যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রূপ আব্দুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জমির, গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, অভিবক্ত বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল জিলু, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খালেদ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়েছ আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমদ রাজ, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক জুয়েল আহমদ, তাজপুর কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জুনাইদ আহমদ, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা পাবেল আহমদ মিঠু প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুখ, উমরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চেরাগ আলী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদ, সহ-সভাপতি সাইস্তা মিয়া, শফিক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক কয়েছ আহমদ চৌধুরী, এস এম মাসুদ, সাইদুল ইসলাম আনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ, সহ-সাংগঠনিক তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির আহমদ, গেয়ালাবাজর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিন আহমদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ফজল আহমদ জনি, সহ-সাধারন সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, সহ কোষাধ্যক্ষ সুহেল আহমদ দলা, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন লিলু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোফাজ্জল আলী, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মুক্তার আহমদ বকুল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আকিক চৌধুরী, আহবাবুল হোসেন আহবাব, স্বেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম- আহবায়ক লয়লুছ আহমদ, জেলা উলামা দলের আহবায়ক মাওলানা নুরুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েব আহমদ, যুগ্ম-আহবায়ক আল মাছুম আবিরসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।