সিলেটসহ সারাদেশে ১৪শ ডাকাত শনাক্ত, ধরতে মাঠে নামছে পুলিশ

প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৫

সিলেটসহ সারাদেশে ১৪শ ডাকাত শনাক্ত, ধরতে মাঠে নামছে পুলিশ

লন্ডন বাংলা ডেস্ক ::

সিলেটসহ সারাদেশের মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ জনের একটি তালিকা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ বছরে মহাসড়কে ডাকাতির বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা এ তালিকায় রয়েছেন। তালিকায় থাকা প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবে পুলিশ।

 

 

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা জানান হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম।

 

‘ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, নগরজুড়ে ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই সভায় মহাসড়কে ডাকাতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ যাতে বুঝতে পারে, পুলিশ ডাকাত খুঁজছে। তখন তারা সতর্ক হবে।’

 

সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ একা কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

সারা দেশের মহাসড়কে ১৩৯টি হাটবাজার আছে জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এগুলো উচ্ছেদ করবে। কিন্তু পুলিশ কি একাই পারবে এসব উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে? এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

সভায় ধারণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, মোটরসাইকেলের যাত্রী ও আরোহীর মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিতকরণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের ভিজিলেন্স টিমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত, ঈদের ১০ দিন আগে মহাসড়ক থেকে সব ধরনের অটোরিকশা উচ্ছেদসহ সাতটি দাবি উপস্থাপন করেন।

 

উড়ালসড়ক থেকে নামলেই যানজটে পড়তে হয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মুহাম্মদ জকরিয়া বলেন, এগুলোর পরিকল্পনা থেকে অনুমোদনে যারা জড়িত, তাদের কোনো পানিশমেন্ট (শাস্তি) হয় না। এসব বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। ঢাকায় যেসব উড়ালসড়ক তৈরি হয়েছে, তার বেশির ভাগ অপরিকল্পিত।

 

 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, কোন ধরনের যান সড়কে চলবে, এ বিষয়ে একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণও নেই, ফলে যে যার মতো পরিবহন আমদানি করছে।

 

সাইফুল আলম আরও বলেন, ভাঙা রাস্তায় দুর্ঘটনা হলে দোষ হয় চালকের। অথচ চালকের দেখার সুযোগ ছিল না, রাস্তাটা ভাঙা নাকি ভালো। এ বিষয়ে সব মহলের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

 

 

দেশে অযাচিত দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স বলেন, বর্তমানে মোটরসাইকেলের অপর নাম ‘অ্যাকসিডেন্ট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা একটু জায়গা পেলেই দ্রুত যেতে চান। ফলে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

Spread the love

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930