সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৫
লন্ডন বাংলা ডেস্ক ::
প্রশাসনিক জটিলতায় থমকে আছে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেট জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম। ২০২৪ সালের শুরুতেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালের দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ। হাসপাতাল হস্তান্তরের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ পাচ্ছেনা গণপূর্ত বিভাগও। সমস্যা নিরসনে সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া হলেও আসছে না সুরাহা। ফলে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রায় ৭ একর জায়গার ওপর এই জেলা হাসপাতাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণপূর্ত অধিদপ্তর হাসপাতালটির প্রথম ধাপের অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব দেয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ১৫ তলা হাসপাতাল ভবনের আটতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রঙের কাজ, ইলেকট্রিক, টাইলস, গ্লাস, দরজা, জানালা লাগানোও সম্পন্ন।
তবে জনবল সংকট, স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মতামত না নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করাসহ বিভিন্ন কারণে হাসপাতাল ভবনের দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না কেউ।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, হাসপাতালটি সিভিল সার্জন কার্যালয় নাকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালনা করবে, সেটি এখনো নির্ধারণ হয়নি। হাসপাতালটি এখনো কাউকে হস্তান্তর করা হয়নি। সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ফলাফল আসবে।
গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-৩ খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি। বর্তমানে এটির রক্ষণাবেক্ষণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে শংকার বিষয় আগামী জুন মাস থেকে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেবে তারা৷ তখন দেখা দিবে নতুন জটিলতা।
এমন ঠেলাঠেলি বন্ধে হাসপাতালটি পরিচালনা বা তদারকির জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে এখানেও রয়েছে জটিলতা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ), (তত্ত্বাবধায়ক অতিরিক্ত দায়িত্বে), ডা. মোহাম্মদ নূরে আলম শামীম জানান, অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এখনও কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি। এমনকি প্রাঙ্গণ ঘেরার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। দেওয়া হয়নি কোন নির্দেশনা। নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার কিথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বর্তমানে সিলেট জেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র হচ্ছে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এটি চালু হলে ওসমানী হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। সিলেট অঞ্চলের রোগীরা এখান থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারবেন।