সিলেট ১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫
কলি বেগম/জগন্নাথপুরঃঃ
দেশে এখনো জাতীয় নির্বাচনের কোন খবর নেই। কবে নির্বাচন হবে তা সঠিকভাবে কেউ জানেন না। ঘোষণা করা হয়নি জাতীয় সংসদ নির্বাচনী তফশিল। তবুও সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে রীতিমতো জমে উঠছে নির্বাচনী আমেজ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ও কয়েকটি ইসলামী দল থেকে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে।
এরমধ্যে বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী এমএ কাহার এর নির্বাচনী পালে হাওয়া লেগেছে। সামাজিক ও গণমাধ্যম সহ বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণায় তুঙ্গে রয়েছেন এমএ কাহার সমর্থকরা। ইতোমধ্যে এমএ কাহারের সমর্থনে বিভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এমএ কাহারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে। এমএ কাহারের পক্ষে দলে দলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে নতুনমুখ হলেও আরেকজন হেভিওয়েট প্রার্থী এমএ কাহার নির্বাচনে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। এমন খবরে ভোটাররাও নতুন করে কষতে শুরু করেছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ।
এমএ কাহারের সমর্থকদের মতে, এমএ কাহার সর্বদা হাসিমুখের একজন মানুষ। বিশিষ্ট শিল্পপতি হওয়া সত্বেও তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে চলতে স্বাচ্ছন্নবোধ করেন। মানুষের দুঃখ কষ্টকে ভাগ করেন নেন। অন্যের কষ্টে তিনি ব্যতিত হন এবং সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি জনসেবা করতে খুবই পছন্দ করেন। এমনিতেই তিনি সারা জীবন ধরে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে জনপ্রতিনিধি হলে তিনি আরো ব্যাপক ভাবে এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করেন তার সমর্থকরা। এমএ কাহারের যুক্তরাজ্যে ও বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এমন এক সজ্জন ব্যক্তি জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইসহাকপুর গ্রামের কৃতী সন্তান ও যুক্তরাজ্যের সুইন্ডন সাউথ ওয়েস্ট রিজন বিএনপির সাবেক সভাপতি, সুইন্ডন-বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, ব্যবসায়ী, দানবীর, গরীব-দুঃখি মেহনতি মানুষের বন্ধু এমএ কাহার। এমএ কাহার যুক্তরাজ্যের সুইন্ডন শহরের সাবেক মেয়র ও বর্তমান কাউন্সিলর আবদুল আমিন এর বড় ভাই।
১৯৭৮ সাল থেকে এমএ কাহার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত আওয়ামীলীগের আমলে তিনি অনেকবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দল ও সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ এমএ কাহারকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দল তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে ২৮ মে বুধবার প্রবীণ মুরব্বী নেছাবর খান, নুরুল ইসলাম, ইউসুফ মিয়া লালন, সুহেল মিয়া, কাওছার মিয়া, জুয়েল মিয়া সহ বিএনপি নেতাকর্মী ও এমএ কাহারের সমর্থকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী এমএ কাহারকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন এমন ব্যক্তিরা তো তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
তাদের মতে, এমএ কাহারের মতো ভালো মানুষ যদি সুনামগঞ্জ ৩ আসনে এমপি হন, তাহলে অত্র অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে। কারণ তিনি বিত্তশালী মানুষ হলেও কোন অহঙ্কার নেই। সুতরাং অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। তিনি একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। অন্যায়কে তিনি কখনো প্রশ্রয় দেন না। ফলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন তাঁর কাছ থেকে আশা করা যায়। এলাকায় এমএ কাহারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। শুধু বিএনপি দলীয় ভাবে তাঁকে মনোনীত করলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ভোটার সাধারণ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচিত করবেন, এমন আশা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে অনেকে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী এমএ কাহার জানান, আমি এমনিতেই সারা জীবন ধরে যতোটুকু সম্ভব মানুষের দুঃখে কষ্টে পাশে দাঁড়িয়েছি। সাধারণ মানুষও আমাকে খুব ভালবাসেন। বিগত ১৬ বছর ধরে দেশে কোন নির্বাচনী পরিবেশ ছিল না। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মানুষ চাইছেন আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। তাই মানুষের প্রত্যাশা পুরণে আমিও নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়েছি এবং ভোটারদের দোয়া চেয়েছি। ভোটাররাও নিরাশ করেননি বরং উৎসাহিত করেছেন। ফলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ এলাকার দেশে ও বিদেশে থাকা ভোটারদের কাছ থেকেও আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যার ফলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ আমার আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাকে ঘিরে মানুষের চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশার স্বপ্ন পূরণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন শুধু বিএনপির হাই কমান্ড যদি আমাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন, তা হলে মূল ভোটযুদ্ধে লড়াই করতে পারবো। দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের ভোটারদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টির মাধ্যমে আমার বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ।