সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
হাসপাতালে লাশ পড়ে থাকে। আসে না কোন স্বজন। করোনা ভাইরাস এর ভয়ে রক্তের কেউও নিতে আসে না দাফন-কাফনের জন্য লাশ। কঠিন এক সময় এসেছে।হয়তো মানবতার সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে সামাজিক শিক্ষা।তবুও এখনই হারিয়ে যায়নি মানবতা।
Smile Charity এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রদান পৃষ্টপোষক জনাব দিলোয়াল হুসেন বলেন, আমার আবির টি-শার্ট প্রিন্টিং হাউস এর সকল কর্মকর্তা ও দারুল আজহার মডেল মাদরাসা ওসমানীনগর ক্যাম্পাস এর শিক্ষক বৃন্দ সহ আমরা কয়েকজন একাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। দারুল আজহার মডেল মাদরাসা ওসমানীনগর ক্যাম্পাসের প্রিন্সিপাল মুফতি মিনহাজ উদ্দিন মিলাদ, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, হাফিজ মিসবাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ খালেদ আহমদ, আবির টি-শার্ট প্রিন্টিং হাউস এর নাজমুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শায়েখুল ইসলাম শায়েখ, সৈয়দ আহমদ, মোহাম্মদ এমরাজ খান, অপু আহমদ, ইংলিশ সেন্টার DTLV এর ট্রেইনার মস্তাক উদ্দিন মিফতা, মিনহাজ আহমেদ, পারভেজ আহমদ। এছাড়া ও আরও অনেকে এ কাজে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তিন-চার ঘণ্টা পর তার শরীরে আর জীবাণু থাকে না। এজন্য আমরা কেউ কল করলে তিন-চার ঘণ্টা পর তার জানাজা-দাফনের ব্যবস্থা করব।
আমাদের এই কাজে ইতিমধ্যে নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ভাই পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদান করতে আগ্রহী, আলহামদুলিল্লাহ সরঞ্জাম প্রায় রেডি, ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক যেন একজন মুসলমানের জানাজা-দাফন হয় সেজন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আল্লাহ এখলাসের সাথে এই কাজ করার তাউফিক দান করুন।