করোনায় মৃতদের জানাজা ও দাফনে জন্য প্রস্তুত ওসমানীনগরের স্মাইল চ্যারিটি

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০

 

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

 

হাসপাতালে লাশ পড়ে থাকে। আসে না কোন স্বজন। করোনা ভাইরাস এর ভয়ে রক্তের কেউও নিতে আসে না দাফন-কাফনের জন্য লাশ। কঠিন এক সময় এসেছে।হয়তো মানবতার সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে সামাজিক শিক্ষা।তবুও এখনই হারিয়ে যায়নি মানবতা।

 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার জানাজা ও দাফন সঠিক ইসলামী নিয়মে সম্পন্ন করতে ও ফরযে কেফায়া আদায় করতে এগিয়ে এসেছেন আবির টি-শার্ট প্রিন্টিং হাউস ও দারুল আজহার মডেল মাদরাসা ওসমানীনগর ক্যাম্পাস এর শিক্ষক বৃন্দ। প্রাথমিকভাবে সিলেটের যে কোন অঞ্চলে এ কাজটি করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। বিশেষ করে ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলায়।

 

Smile Charity এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রদান পৃষ্টপোষক জনাব দিলোয়াল হুসেন বলেন, আমার আবির টি-শার্ট প্রিন্টিং হাউস এর সকল কর্মকর্তা ও দারুল আজহার মডেল মাদরাসা ওসমানীনগর ক্যাম্পাস এর শিক্ষক বৃন্দ সহ আমরা কয়েকজন একাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। দারুল আজহার মডেল মাদরাসা ওসমানীনগর ক্যাম্পাসের প্রিন্সিপাল মুফতি মিনহাজ উদ্দিন মিলাদ, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, হাফিজ মিসবাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ খালেদ আহমদ, আবির টি-শার্ট প্রিন্টিং হাউস এর নাজমুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শায়েখুল ইসলাম শায়েখ, সৈয়দ আহমদ, মোহাম্মদ এমরাজ খান, অপু আহমদ, ইংলিশ সেন্টার DTLV এর ট্রেইনার মস্তাক উদ্দিন মিফতা, মিনহাজ আহমেদ, পারভেজ আহমদ। এছাড়া ও আরও অনেকে এ কাজে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

 


মুফতি মিনহাজ উদ্দিন মিলাদ বলেন, আমরা অনলাইনে বিভিন্ন নিউজ এ দেখতেছি করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা ইন্তেকাল করতেছেন দাফন কাফনে ফ্যামেলির কাউকে আসার সূযোগ না থাকায় অনেক কেই গোসল, জানাজা ব্যতীত, দাফন করা হচ্ছে অথচ এটি ফর‍যে কেফায়া যা কেউ না করলে সবাই গুনাহগার হবেন, তাই আমরা ফরযে কেফায়া আদায়ের জন্যে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
সুতরাং জানাজা-দাফনের প্রয়োজন হলে আমাদের মোবাইল নাম্বার গুলোতে জানিয়ে ফরযে কেফায়া আদায় করতে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে – +8801711977508 +8801726657277 +8801777538897 +8801710572970 ফোন করলে আমরা সেখানে পৌঁছে যাব। তার নামাজে জানাজা ও দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করব। কারো যদি কাফনের কাপড় প্রয়োজন হয় আমরা তারও ব্যবস্থা করবো।

 

ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তিন-চার ঘণ্টা পর তার শরীরে আর জীবাণু থাকে না। এজন্য আমরা কেউ কল করলে তিন-চার ঘণ্টা পর তার জানাজা-দাফনের ব্যবস্থা করব।

 

 

আমাদের এই কাজে ইতিমধ্যে নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ভাই পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদান করতে আগ্রহী, আলহামদুলিল্লাহ সরঞ্জাম প্রায় রেডি, ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক যেন একজন মুসলমানের জানাজা-দাফন হয় সেজন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আল্লাহ এখলাসের সাথে এই কাজ করার তাউফিক দান করুন।

Spread the love