জেলা প্রতিনিধিঃঃ
করোনাভাইরাসে অধিক সংক্রমিত এলাকা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এই পর্যন্ত প্রবেশ করেছেন ১৫১জন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ গার্মেন্টস কর্মী। উপজেলার উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে বেশী এবং বাদাঘাট, তাহিরপুর, উত্তর বড়দল ও বালিজুড়ী ইউনিয়নে কম সংখ্যক মানুষ এসেছেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি।
আইইউডিসিআর এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায়। আর এই জেলাগুলো থেকে মানুষ আসায় ঘটেছে বিপত্তি। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন স্থানীয় মানুষজন।এছাড়া সম্প্রতি জেলায় এক গর্ভবতী নারী করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন তার স্বামীর সংস্পর্শে। তার স্বামীও এক সপ্তাহ পূর্বে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
সরকার করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এক এক করে শহরের কলকারখানাসহ কর্মক্ষেত্রগুলো বন্ধ করায় সবাই এখন ফিরতে শুরু করেছে গ্রামের পরিবারের কাছে। সড়ক যান চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ কেউ শহরে থাকা সপরিবারে ফিরছেন বিকল্প পথে। ফলে গ্রামে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি।
এতে করে গ্রামের সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, যারা গ্রামে এসেছে তারা যেখানে ছিল সেখানেই থাকতে বাধ্য করা প্রয়োজন ছিল সরকারের। তাদের কারণে এখন স্থানীয়রা আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন।এলাকাবাসী বলেন, কার কি অবস্থা কে জানে। তারা সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে অবস্থান করলে আমাদের করোনায় আক্রান্ত হবার আশঙ্কা ছিল না। এখন সারাক্ষণ আতঙ্কের মাঝে আছি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, যারা ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শহর থেকে এসেছেন তাদেরকে আলাদাভাবে রাখতে বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। এখন পর্যন্ত সর্দি, কাশি ও জ্বরে লক্ষণ আগতদের মাঝে পাওয়া যায়নি।তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আমারা শহরফেরত মানুষগুলোকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সচেতন মানুষের সহযোগিতায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে ও তাদের বিষয়ে কঠোর নজরদারী রয়েছে।
যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টিন না মানেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি জানান, নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা ও গাজীপুর থেকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে এই পর্যন্ত প্রবেশ করেছেন ১৫১ জন। প্রতিটি গ্রামের কমিটি করা হয়েছে। আগতদেরসহ সবাইকে সর্তক করেছি। আগতরা যেন হোম কোয়ারেন্টিনসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন। না হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।