সিলেট ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার লকডাউন ভেঙে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। ধানের ওপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। পুলিশ শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম, মো. তাহের, কনস্টেবল রাজু বড়ুয়া, মো. তাহের, মো. তসলিম, মো. শফিক। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের ডিঘর ও সূচিউড়া এলাকার তিতাস নদীর পাড়ে সরুর রহমান গোষ্ঠীর ফারুক মিয়া নামের একজন ধান মাড়াই করছিলেন। এ সময় বেলায়েত হোসেনের গোষ্ঠীর কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি ধানের ওপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে যান। এ নিয়ে ফারুক মিয়া ও কামালের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। বিষয়টি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জানাজানি হলে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশে এসে শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সাত পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ছোয়াব আহমেদ রিতুল জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, ধানের ওপর দিয়ে ট্রাক্টর যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনিসহ মোট সাত পুলিশ সদস্য ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গত শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা এলাকায় জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লকডাউন উপক্ষো করে এতে হাজার মানুষ অংশ নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর থেকে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) মাসুদ রানা, সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন ও পরিদর্শক (তদন্ত) নারুল হককে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।