সিলেট ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২০
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া /সুনামগঞ্জঃঃ
লকডাউনের মাঝেই তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের হুসনারঘাট থেকে পাতারগাঁও ১কিলোমিটার সড়কে এখন বিভিন্ন যানবাহন চলছে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে। এই সড়কের গত কয়েক যুগ ধরেই মেরামত না করায় এই চরম দূর্ভোগের মাঝেই চলাচল করতে বাধ্য হয়েছে প্রায় ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
রবিবার দুপুরে তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের হুসনারঘাট থেকে পাতারগাঁও ১কিলোমিটার সড়কের পাতারগাঁও অংশের ভাঙ্গনের ছবি তুলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপলোড কওে মতিউর রহমান নামে একজন লিথেছেন বাদাঘাট-তাহিরপুর সড়কের অবস্থা। তার এই আপলোড করা ছবিতে দেখা যায়,ভাঙ্গাচুড়া সড়কে করোনা ভাইরাসের মধ্যেই ঠেলাগাড়ী,মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচর করছে চরম দূর্ভোগ নিয়ে। আর এতে নানান জনে নানান ভাবে কমেন্টস করেছেন। জন্টু সরকার লিখেছেন এত উন্নয়ন হল রাস্তাটার কথা মনে নেই ? মনির আহমদ লিখেছেন,দেখার কেউ নেই শুধু চুরি আর চুরি।
ফেরদৌস আলম লিখেছেন,বাদঘাটের নেতারাই তাহিরপুরের আওয়ামিলীগের উন্নয়নের লাউড স্পিকার। আব্দুল আউয়াল লিখেছেন,অধিক পাকা রোড যতদিন না হবে বৃষ্টি আসার পর মাটির রাস্তা গুলো বেহাল অবস্থাা যাতায়াত করা মহা কষ্টকর। মোরাদ হোসাইন লিখেছেন,কোন নেতারা কীলাখান তাহিরপুর উপজেলার সবাই জানে। এমন নানান মন্তব্য করছেন নানান জনে।
জানা যায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলাটি অর্থনৈতিক ও পর্যটন সমৃদ্ধ হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ব্যাবসা বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজার ছাড়াও ৪টি ইউনিয়নের লোকজন,বাদাঘাট বাজার হয়ে উপজেলার ৩টি শুল্ক ষ্টেশনের ব্যবসায়ী,শিমুল বাগান,যাদুকাটা নদী,বারেকটিলা,শহীদ সিরাজ লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট দেখতে আসা হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীরা লাইটেস,মটরসাইকেল,মালবাহী ট্রাক নিয়ে চলাচলের সহজ পথ বিধায় এই সড়কটি সবাই ব্যবহার করছে। তাহিরপুর-বাদাঘাট ৮কিলোমিটার সড়কের ৫কিলোমিটার সড়কেই এখন ঝুকিঁপূর্ন। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ন হুসনারঘাট থেকে পাতারগাঁও ১কিলোমিটার সড়কে প্রতিদিনেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে চলাচলকারী যানবাহন ও মানুষজন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর(এলজিইডি)তাহিরপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানাযায়,১৯৯৩সালে এলজিইডি তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি নির্মানের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন মাটির সড়ক তৈরী করা হয়। পরে বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে ২০১১-১২অর্থ বছর পযর্ন্ত সড়কের ৬কিলোমিটার কাজ পাকা করা হয়েছে।
২০১৮সালের শুরুর দিকে এই সড়কটিতে ৩তিনটি ভাগ করে মেরামতের জন্য প্রায় ৪কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। এই সড়কের বৌলাই নদী উপর নির্মিত ব্রীজ থেকে সূর্যেরগাঁও পর্যন্ত ৭৫০মিটার ও টাকাটুকিয়া ব্রীজে দুই পাশে মিলিয়ে বল্ক দিয়ে ২৫ফুট সড়কের কাজ হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন ভাঙ্গন অংশে(হুসনারঘাট,পাতারগাও)কোন কাজ হয় নি।
এই বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর(এলজিইডি)আরো জানাযায়,এই সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এখনও অনুমোদন হয় নি। অনুমোদন হলে এ সড়ক কাজ শুরু হবে।