কমলগঞ্জে এক গৃহবধুকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

কমলগঞ্জে এক গৃহবধুকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধিঃঃ
কমলগঞ্জের নোয়াগাঁও গ্রামের তিন সন্তানের জননী গৃহবধুকে গলায় ফাঁস দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তাকে শারিরীক নির্যাতনের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নিহতের বড় ভাই আশিক মিয়া। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নিহতের তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় ভাই মো: আশিক মিয়া বক্তব্য বলেন, তার ছোট বোন সেলিনা বেগম(৩৫) কে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মনু মিয়ার নিকট বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল প্রতিবেশীদের সাথে। এ বিরোধ চলাকালিন মারা যান তার বোনের জামাই মনু মিয়া। এর পর থেকে তাহার বোন তিন সন্তান নিয়েই স্বামীর ঘরে বসবাস করছিলেন।

 

গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৭টায় তার তার বোন ছেলে সন্তানদের নাস্তা করানোর সময় কে বা কাহারা ফোন করেন। এ ফোনের পর ঘর থেকে বাহির হইয়া যায়। সে যাওয়ার সময় গ্রামের অনেকে দেখেছেন। পরে সে বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়াতে আমার বোনের পরিবারের লোকজন বোনের ভাশুড় মো: বাছিত মিয়া, বোনের ছেলে স্বাধীন ও তার ভাশুড় পুত্র বদরুল হোসেন এবং দেবর জিল্লুর রহমান তাকে খোঁজার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়।

 

এমতাবস্থায় সকাল ৯টার দিকে খবর মিলে পাশ্ববর্তী পদ্মছড়া রাবার বাগানে ৯৪নং সেকশনের চা শ্রমিকরা একটি রাবার গাছের সাথে পা মাটিতে লাগানো গলায় ওড়না দ্বারা ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক মহিলার লাশ পাওয়া গেছে। সংবাদ পেয়ে সরজমিনে গিয়া তার লাশ শনাক্ত করেন।

 

পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গসহ সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে পৌছি। সংবাদ সম্মেলনে আশিক জানান, ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ ঘটনাটি কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার বোন সেলিনা বেগমের লাশ রাবার গাছ থেকে নামিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।

 

লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে এনে দাফনের জন্য গোসল দেওয়ার সময় তাহার শরীরের গোপন অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের অবগত করা হয়। তিনি অারও বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করার প্রশ্নই উঠে না এবং আত্মহত্যার মতো কোন ঘটনার পরিস্থিতি সংসার/পরিবারে সৃষ্টি হয়নি।

 

তার এলাকায় একটি পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষরা আমার বোনকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

 

আমার বোনের ব্যবহিত মোবাইল ফোন থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ফোনের কললিষ্ট যাছাই করা হলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলেও জানান নিহতের ভাই আশিক। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানানো হয়।

Spread the love

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031