সিলেট ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০
স্টাফ রির্পোটারঃঃ
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে এবার নতুন ভয় যুক্ত হচ্ছে সিলেটে। সিলেট নগরীতে বাসা বাঁধছে এডিস মশা। এই মশাই ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এডিসসহ সব ধরনের মশার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতেই হবে। সে লক্ষ্যেই তারা প্রস্তুত হচ্ছেন।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড এলাকায় ক্বিনব্রিজ পার হয়ে রেলস্টেশনমুখী সড়কের পাশে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)। একটি পরিত্যক্ত কমোডের মধ্যে এই লার্ভা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সুমন। তিনি জানান, গেল বুধবার এ লার্ভা পাওয়ার পর এডিসের বংশবিস্তার রোধে তারা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।
সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এডিসের লার্ভা পাওয়ার পর মশার বংশবিস্তার রোধে বেশ নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দু-তিনদিনের মধ্যেই নগরীজুড়ে মশার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে সচেতনামূলক কার্যক্রম হিসেবে নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে। কেউ যাতে নিজের বাসা-বাড়ির ভেতর বা আশপাশ অপরিচ্ছন্ন না রাখেন, সেজন্য সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে সিসিকের পক্ষ থেকে।
সচেতন মহল বলছেন, সিলেট নগরীতে এডিস মশা যাতে নিজের আবাস গড়তে না পারে, সে জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জানতে চাইলে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘মশার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতেই হবে। আমরা ১ মে থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৪-৫ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হবে।
এদিকে, সিটি করপোরেশনে বর্তমানে মাত্র একমাস চলার মতো মশা মারার ওষুধ মজুত আছে। এখন আরো তিন মাসের ওষুধ মজুতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সিসিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘মশার পর্যাপ্ত ওষুধ নাই, যা আছে মাসখানেক চলবে। আমরা আরো তিন মাসের মজুত রাখতে চাইছি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছি।