সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২০
প্রতিনিধি/জকিগঞ্জঃঃ
সিলেটের জকিগঞ্জে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণাধীন রাস্তা কেটে নালা ভরাট ও পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, জকিগঞ্জ-সিলেটের সড়ক ও জনপথের রাস্তার ফলাহাট গ্রাম থেকে কোচারখালের উৎপত্তি হয়ে পাঠানচকের ভিতর দিয়ে হাইল ইসলামপুর, রহিমখারচক, খলাছড়া ইউনিয়নের মজুমদারী হাওরের উত্তর-পশ্চিমে প্রলম্বিতভাবে মিলিত হয়েছে।
চলতি বছরে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চয়োরম্যান ও ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আজিজুর রহমান কালন ইউনিয়ন পরিষদের ইজিপিপি প্রকল্পের অর্থায়নে খালের পানি নিষ্কাশন ও রাস্তা পুনঃনির্মাণের জন্য দুই হাজার দুইশত ফুট রাস্তা ও নালা উন্নয়ন করেন। কাজ শেষ হওয়ার প্রায় দু মাস পর জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে রহিমখারচক গ্রামের আব্দুশ শাকুরের ছেলে আলিম উদ্দিন, কুটু মিয়ার ছেলে আব্দুস শাকুর,তাদের ভূমির সামনের নির্মাণাধীন রাস্তা কেটে কোচারখাল ভরাট করতে শুরু করেন। এ ঘটনায় প্রকল্পের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিবাদীরা প্রকল্পের কাজ চলাকালীন আপত্তি না দিয়ে কাজ শেষ হওয়ার ২ মাস পর রাস্তা ও নালা কেটে ভরাট করে। এলাকার লোকজন নিষেধ দিলেও তারা বাঁধা না মেনে রাস্তা কেটে খাল ভরাট করে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় জনসাধারনের চলাফেরাসহ কৃষি উৎপাদনের মারাত্বক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
কোচারখালের নালা বন্ধ হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টি হলে রারাই, মুমিনপুর, ফলাহাট, হাজারীচক, ইলাবাজ, পাঠানচক, পূর্ব হাইল ইসলামপুর, পূর্ব রহিমখারচকসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল পুনঃনির্মাণ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে জানতে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়রম্যান ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ফয়েজ আহমদ এর ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংহ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইত্তফাককে জানান, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।