মো বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ/ জামালগঞ্জঃঃ
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় ধান বিক্রয়ে আগ্রহী কৃষকদের বাছাইকৃত প্রাথমিক তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। ২৮ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগটির কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়েছে।
জানা যায়,শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষকলীগ জামালগঞ্জ উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামসুল আলম, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সদস্য মো নিজাম নূর, ফয়জুর রহমান শেরন সহ ২৮ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বরাবর।
অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ৬ মে প্রকাশিত জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্তৃক যে তালিকা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে, সেই তালিকায় ভীমখালী ইউনিয়নের ৩ জন মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসী রয়েছেন ১১ জন, এবং তাদের মধ্যে জমি নেই বর্গাচাষি ও করেননি এমন রয়েছে ৪২৫ জন। সাচনা বাজার ইউনিয়নের তালিকার মধ্যে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন ৫ জন,প্রবাসী রয়েছে ৬ জন, বর্গাচাষি ও জমি করেননি এমন রয়েছে ২০২ জন।
বেহেলী ইউনিয়নে মৃত রয়েছেন ১ জন, প্রবাসী ১ জন, বর্গাচাষি ও জমি করেননি এমন রয়েছে ৬২ জন। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে মৃত রয়েছেন ২ জন, প্রবাসী রয়েছেন ১ জন, বর্গাচাষি ও জমি করেননি এমন রয়েছে ১১৯ জন, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে মৃত রয়েছেন ১ জন, প্রবাসী রয়েছেন ৩ জন,বর্গাচাষি ও জমি করেননি এমন রয়েছে ৭৯ জন। ৫ টি ইউনিয়নে মোট মৃতের সংখ্যা ১২ জন,প্রবাসী ২২ জন, বর্গাচাষি কিংবা জমি নেই মোট ৮৮৭ জন সহ সর্বমোট ৯২১ জন রয়েছে, যাদের লটারিতে অংশগ্রহণ করার কোন বৈধতা নেই।
এছাড়াও প্রকাশিত তালিকায় ২০ জন কৃষকের একই মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ আছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ধান ক্রয়ের ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে, আমি বলেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় আমাদেরও দাবি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কেউ যদি দূর্নীতি করতে চায় সাথে সাথে আমাদেরকে যেন অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আজিজল হক বলেন যে তালিকা ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, এটা একটা প্রাথমিক খসড়া তালিকা। যাচাই-বাছাই করে উপযুক্তরাই একমাত্র লটারিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে উপজেলার কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষকদের সহ ৩ জন করে ট্যাগ অফিসার করে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কার্যক্রম করছে। তাছাড়া অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে খতিয়ে দেখা হবে। ভুলভ্রান্তি হলে তাদের নাম বাদ দেয়া হবে।