লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

যদি বিএনপি ত্রাণ বঞ্চিত হয় বা ১০ টাকা মূল্যে চালের তালিকাভুক্ত হতে চায়, তাহলে তালিকা দিতে বলেছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রাজনৈতিক এ দলটি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাঠে না থেকে শুধু সমালোচনা করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ শনিবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির উদ্যোগে শহরের গোর-এ- শহীদ ময়দানে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতির ময়দান থেকে হারিয়ে গিয়ে, ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর কথা বলে রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তারা যদি ত্রাণ বঞ্চিত হন, ১০ টাকা মূল্যে চালের তালিকাভুক্ত হতে চায়; তালিকা দিতে পারেন।

বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল যদি মনে করেন, তিনি ১০ টাকা কেজি চালের আওতায় আসতে চান, রাস্তা পরিষ্কার আছে। আপনি যদি ত্রাণ সাহায্যের আওতায় আসতে চান, সে রাস্তাও আমাদের পরিষ্কার আছে। শুধু আপনাদের সম্মতি দরকার। আপনি সে ধরনের নিবেদন করলেই, সরকার আপনাদের কাছে ত্রাণ ও ১০ টাকা কেজি চাল পৌঁছে দেবে।

খালিদ আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারের বিষোদগার করছে। বিএনপি মহাসচিব বলছেন, “দেশে ত্রাণকার্য সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।” ফখরুলকে বলতে চাই, ১০ টাকা কেজি চাল নিয়ে এর আগেও আপনারা অনেক সমালোচনা করেছিলেন। আজকে বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ ১০ টাকা কেজি চাল পাচ্ছে। ২০১৬ সালেই প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা বাস্তবায়ন করে। ১৯৪৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যা বলেছে, তার প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত সুষ্ঠু ত্রাণ বিতরণ হয়নি। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া গেছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ জনের মতো জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদেরকে সরানো হয়েছে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে। তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, জেলা ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক আলতাফুজ্জামাম মিতা, সদস্য সচিব ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

জেলা ত্রাণ কমিটির পক্ষ থেকে এ সময় ৫০০ দুস্থ লোকের হাতে ত্রাণ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী। পরে জেলা পরিষদের পক্ষ হতে এবং প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ বিতরণ করেন।