সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২০
মোঃ বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ/জামালগঞ্জঃঃ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় শাক-সবজির বীজ বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি বিভাগ। সোমবার দুপুরে উপজেলার হল রুমে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে শাক সবজি বীজ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব ও উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজল হক।
প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদের নির্দেশনায় জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৬৩০ জন কৃষাণীর মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ করা এসব শাক-সবজি বীজের মধ্যে রয়েছে, করলা, ধুন্দুল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ,হাইব্রিড চিচিঙ্গা, হাইব্রিড ঝিংগা ও লাল শাক।
মূলত সারাদেশের মতো সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলাতেও করোনার থাবাতে স্থবির সাধারণ কৃষক। সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় হাটবাজার বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়া নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের পাশে সহায়তা অব্যাহত রাখছে প্রশাসন। তবুও শাক-সবজি ক্রয়সহ বিভিন্ন কাজে সাধারণ মানুষকে বাজারমুখী হতে হচ্ছে।
তাই সাধারণ মানুষ জন যেন অতিজরুরি কাজ ছাড়া বাজারমুখী না হন এ জন্যই জামালগঞ্জ উপজেলায় শাক-সবজির বীজ বিতরণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃষি বিভাগ এ কাজে সার্বিক সহায়তা করে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন মানুষকে বাজারে যেতে হবে না, তেমনি শাক-সবজিরও সংকট দেখা দিবে না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান বীণা রানী তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজল হক বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি ও তার পরবর্তী সময়ে দেশে কি পরিস্থিতি হবে তা কেউ বলতে পারছে না।
তবে ধারণা করা যায় আমদানি রফতানি বন্ধে তীব্র সবজি সংকটে পড়তে পারে দেশ। তাই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি অফিসের খালি জায়গায় শাক-সবজির চাষাবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত দেব জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এই মহামারী সময়টাকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের শাক-সবজির আবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বাড়িতে খোলা জায়গায় শাক-সবজির চাষাবাদের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা উপজেলার ৬৩০ পরিবারের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করেছি। ৭জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রতি ৩ জনে টিম করে মোট ২১০ টি গ্রুপকে সবজি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও নির্দেশনা দিবেন।
ইউএনও আরও জানান, অনেকেই আছেন বীজ কিনে শাক-সবজি চাষ করতে চান না। তাই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা সবাই যদি এসময়ে শাক-সবজি চাষের গুরুত্ব অনুধাবন করে চাষাবাদ করি তাহলে ভবিষ্যতেও আমাদের খাদ্য সংকটে পড়তে হবে না। এমনকি অল্প কিছু শাক-সবজির জন্য দূর-দুরান্ত থেকে বাজারে আসতে হবে না।