সিলেট ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০
জয়নাল আবেদীন/জেলা প্রতিনিধিঃঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জেএসসি শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনে বোর্ড নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে ফরম পূরণ, ভর্তি ক্ষেত্রে বাণিজ্যের কথা শুনা গেলেও এবার করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে দুর্যোগকালীন সময়েও বাণিজ্য চলছে। ফলে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় দরিদ্র অভিভাবকদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৭ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ জেএসসি শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি রেজিষ্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি ৩০ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৫ টাকা, অন্ধকল্যাণ ফি ৫ টাকা এবং উন্নয়ন ফি ২৫ টাকা হিসাবে মোট ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠান সমুহে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে১২৫ টাকা আদায় করার কথা রয়েছে।
এর সাথে প্রতিষ্ঠান প্রতি জাতীয় স্কুল ক্রীড়া এ্যাফিলিয়েশন ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ রয়েছে। তবে কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আড়াইশ, তিনশ’ টাকা হারে আদায় করছে। ফলে করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের জন্য এই টাকা পরিশোধ করাও বাড়তি চাপ বলে মনে করছেন।
আব্দুল মোস্তাকিম, জমশেদ আলীসহ অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহেও এসব অনিয়ম কাম্য নয়। করোনা ভাইরাস নিয়ে পুরো দেশ যেখানে অচল সেখানে দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা আদায় করা শিক্ষকদের বাণিজ্য হয়ে পড়ছে।
শমশেরনগর হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিক জানান তিনি ২৬০ টাকা, এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর জানান ১৫০ টাকা, কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র কুমার পাল জানান, ২শ’ টাকা হারে আদায় করছেন।
কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২শ’ টাকা হারে আদায় করছেন। এছাড়াও কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩শ’ টাকা, কালেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ২৫০ টাকা, অভয়চরণ উচ্চ বিদ্যালয় ২শ’, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় ২শ’ টাকা হারে আদায় করছেন।
অভিযোগ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকরা বলেন, অনলাইনের চার্জ, ছবি তোলা, বোর্ডে আসা যাওয়া, চা নাস্তা এসবে বাড়তি টাকা খরচ হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন বলেন, কয়েকটি স্কুলে বলে দিয়েছি নির্ধারিত ফি ছাড়া না নেওয়ার জন্য। তবে শিক্ষকদের উক্তি ছবি ও অনলাইনের জন্য কিছু টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এর পরও কোন স্কুল বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রমান থাকলে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে খতিয়ে দেখা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।