সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০
প্রতিনিধি/ছাতকঃঃ
ছাতকে সরকারী রাস্তায় বেড়া দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। অবৈধভাবে রাস্তায় বেড়া দেয়ায় গত ৪ দিন ধরে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। যেকোন মুহুর্তে এখানে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের সুতারখালি গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ আওতায় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে সুতারখালী ইটসলিং রাস্তা হতে গ্রামের আব্দুল জব্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরন করা হয়। ওই রাস্তা পাকাকরণের ফলে রাস্তার উভয় পাশে বসবাসরত ৪২ টি পরিবারের লোকজন চলাচলে সুফল ভোগ করে আসছে।
গত ৭ জুন গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে গ্রামের প্রতিপক্ষরা রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তে বাঁশ ও ডাল-পালা ব্যবহার করে রাস্তায় বেড়া দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বেড়া দেয়ার ফলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না রাস্তার উভয় পাশে বসবাসরত অন্তত ৩৫টি পরিবারে লোকজন। বাইর হওয়ার একমাত্র রাস্তা হওয়য় ওই ৩৫টি পরিবারের লোকজন এখন বন্দি দশায় রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের গন্যমান্যরা চেষ্টা করেও এর নিষ্পত্তি করতে পারেনি। ফলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে উভয় পক্ষের মধ্যে।
সাবেক মেম্বার আব্দুল মালিক, মসজিদের মুতাওয়াল্লী ক্বারী আলাউদ্দিন, সাবেক মুতাওয়াল্লী আব্দুল মছব্বির, গ্রামের আব্দুল হামিদ, আব্দুল মানিকসহ লোকজন জানান, গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে গ্রামের আব্দুল মান্নান, আশিক আলী, আব্দুল হাসিম গংরা অন্যায়ভাবে গ্রামের সরকারী রাস্তায় বেড়া দিয়ে কয়েকটি পরিবারকে বন্দি করে রেখেছে। তারা নিজের রাস্তা দাবী করে তাদের বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে এসব পরিবারের লোকজনদের স্বাভাবিক চলাচলে বাধাগ্রস্ত করছে।
বিষয়টি নিয়ে তারা উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আপোশে নিস্পত্তির উদ্যোগ নিলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের অসহযোগিতার কারনে তা হয়নি। এর আগেও একবার বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল তারা। পরে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পতি ঘটে। বর্তমানে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ইউপি সায়েস্থা মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সরকারী রাস্তায় বেড়া দেয়া আইন বিরোধি কাজ। ভুক্তভোগিদের আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য তিনি বলেছেন।