সিলেট ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অর্থ উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথমত, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এটি অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশ্বব্যাংক ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাক্কলন করেছে ১ শতাংশ, সেটি হয়তো আরও বেশি হবে। সেখান থেকে ৪-৫ শতাংশ ধরা হলে উচ্চাভিলাষী হতো না।
রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে এনবিআরের কাছ থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে এনবিআর বলেছে, তাদের পক্ষ থেকে এটি আদায় সম্ভব হবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামায় ভ্যাট আদায় হবে না। আমদানিতে ধসের ফলে শুল্ক কর আদায় হবে না। অনেকের আয় কমে গেছে। ফলে আয়কর আদায় কমে যাবে। করপোরেট ট্যাক্স আদায় কমবে। এর মধ্যে বেশকিছু করের মাত্রা কমানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাজেট বড়মাত্রায় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং আয় হবে না। এ লক্ষ্যমাত্রার বাজেট বাস্তবায়ন করা হলে ঘাটতির মাত্রা আরও বেশি হবে। বাজেটে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি ধরা হয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যয় করতে পারে না। ফলে ঘাটতির মাত্রা সেখানে কমতে পারে।
অর্থায়নের সূত্রের মধ্যে ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। যদি বেশি মাত্রার অর্থ আসে তা হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে। সরকারের উচিত বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ এবং সহজ শর্তের ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করা। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা খাতের বরাদ্দ ঠিক আছে। বিশ্লেষণ করতে লাগবে। যেগুলো দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এগুলোর কতটুকু সামঞ্জস্য তা-ও দেখতে হবে।