মো. আলতাব আলী মেম্বার জানান, উক্ত চেয়ারম্যানের ইন্ধনে তার বিরুদ্ধে একটি চেকডিজঅনার মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে তিনি জেল হাজতে ছিলেন। পরবর্তীতে অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে আনুমানিক ১৫/২০ দিনের ভিতরে তিনি মুক্তি পান। এরপরে তিনি এই মামলাটি সিলেট মহানগর আদালতে আপিল করেন এবং এই মামলাকে ইস্যু করে ইউপি চেয়ারম্যানের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোন প্রকার কারন দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর মো. আলতাব আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ‘বেআইনী ও অমানবিক’ এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জবাব দাখিল করেন মো. আলতাব আলী মেম্বার।
পাশাপাশি অমানবিক বরখাস্তের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন (নং ১৪৯৪/২০১৯) দায়ের করেন। মহামান্য আদালত দরখাস্তের শুনানী শেষে রুল নিশি ইস্যু করেন এবং স্থানীয় সরকার সচিব ও জেলা প্রশাসক এবং ইউএনওকে শোকজ করেন। যার কারনে মামলার শুনানী বিলম্ব হয় এবং জাতীয় করোনা মহামারির কারনে মহামান্য আদালত বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে হাইকোর্টে চলমান মামলাটির শুনানী হয়নি। কিন্তু উচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকাবস্থায় বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউপি সদস্য আলতাব আলীর পদ শূণ্য ঘোষণা করেন।

এ অবস্থায় আলতাব আলী মেম্বার মহামান্য হাই কোর্টের ব্যারিস্টারকে অবগত করেন এবং ব্যারিস্টার আলতাব আলী মেম্বারকে বরখাস্তের কাগজগুলো পাঠানোর জন্য বলেন। উচ্চ আদালতে অন্যায়ভাবে বরখাস্তের বিষয়টি তুলে ধরবেন। তিনি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। তাছাড়া তিনি হাইকোর্টে দায়েরকৃত রীট পিটিশনের বিষয়টি সম্পর্কে সিলেটের জেলা প্রশাসক, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকারের সচিবকে লিখিতভাবে অবগত করেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল জানান, ইউপি সদস্যের স্থায়ীভাবে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে পেয়েছি। বিষয়টি আইনি ব্যাপার। ইউপি সদস্যের কাছ থেকে আমি হাই কোর্টের রীট পিটিশন সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র পাই নাই।