সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২০
জয়নাল আবেদীন/মৌলভীবাজারঃঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশি বাহিনী ও সেনা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মাঠে ছিলেন পুলিশ বাহিনী। মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন কালে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন এক পুলিশ সদস্য পলাশ বৈদ্য। গত ৩০ মে নিজ কর্মস্থল কানাইঘাটে করোনা সনাক্ত হন।
এরপর ৩১ মে থেকে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তির পর গত ১০ জুন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। করোনাজয়ী এই পুলিশ সদস্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য এলাকায়।
করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য পলাশ বৈদ্য জানান, জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যাথা এসব শারীরিক কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর গত ২৯ মে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেই। পরদিনের রিপোর্টে পজেটিভ আসে। এরপর ৩১ মে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল সিলেটে আমাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পাশাপাশি আমি গরম পানি, আদা লেবুর রং চা, গড়গড়া এসব পদ্ধতি যথারীতি নিয়মিত সেবন ও ব্যবহার করি।
প্রথমদিকে শারীরিকভাবে কিছুটা অবনতি দেখা দিলে নিজের দৃঢ় মনোবল, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অন্যান্য খাবার দাবারের কারণে এক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠি। আমি সুস্থ হওয়ায় দ্বিতীয় দফা ১০ জুন নমুন দিলে ১১ জুন নেগেটিভ আসে। বর্তমানে নিজে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছি।
পলাশ আরো জানান, করোনা আক্রান্ত হলে নিজের মনোবল চাঙ্গা রাখতে হবে। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা চেতনায় মনকে ধাবিত করতে হবে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবদের দিকনির্দেশনা, উৎসাহে নিজেকে সুস্থ হতে সক্ষম হয়েছি। একজন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পলাশ বৈদ্য শ্রীসূর্য্য গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিখিল বৈদ্যের ছেলে। পড়ালেখা শেষে ২০১০ সনে পুলিশের কনস্টেবল পদে সুনামগঞ্জে যোগদান করেন। বর্তমানে সিলেটের কানাইঘাট থানার কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।