সিলেট ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
বিদ্যালয়হীন গ্রামে ১৫শ’ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত হলেও নানা বেড়াজালে মুখ থুবরে পড়েছে সিলেটের ওসমানীনগরের বড় দিরারাই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। সাইনবোর্ডে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় লিখা থাকলেও জন্মলগ্ন থেকে রয়েছে সরকারী সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত। ওসমানীনগরে শিক্ষাক্ষেত্রে অবহেলিত বড় দিরারাই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের পর থেকে সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ রয়েছে সরকারীকরন।
স্থাপনের ৮ বছর অতিবাহিত হলেও বিদ্যালয়ে দেয়া হয়নি কোনো শিক্ষক নিয়োগ। শিক্ষার মান উন্নয়নসহ জড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্থানীয়রা প্রবাসীদের সহযোগিতায় একটি ভবন নির্মান করে চারজন সেচ্চাসেবী শিক্ষকদের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন কার্যক্রম।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে এক সংসদ সদস্যের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তৎকালিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের ১৫ শ বিদ্যালয়ের আওতায় স্থাপিত বিদ্যালগুলোতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাসের পর দেশের অনান্য স্থানে স্থাপিত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও এ বিদ্যালয়টি রয়ে গেছে বঞ্চিতের খাতায়।
বিদ্যালয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগসহ সার্বিক কল্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান,২০১২ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর সরকারের এলজিইডি বিভাগের অধিনে গভীর নলকূপ স্থাপন ও দ্বীতল ভবন নিমার্নের কাজ শুরু হয়।
দ্বীতল ভবনের আংশিক কাজ সম্পন্নের পর নানা জটিতলায় বন্ধ হয়ে যায় ভবন নির্মানের কাজ। পরবর্তীতে দ্বীতল ভবনের অসম্পন্ন কাজ শুরু করার জন্য উপজেলা এলজিইডি বিভাগের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাবরে একাধিক প্রতিবেদন পাঠানো হলেও অদৃশ্য কারনে তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে বিদ্যালয়ের সামনে থাকা অসম্পন্ন ভবনের ফাইলিংয়ের স্থানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি থাকায় প্রতিনিহত দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: বায়োজিদ খান জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি ১৫শ বিদ্যালয়ের আওতায় সরকারীকরনের বিষয়ে তাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য নেই। তবে বিস্তারিত জেনে ওই বিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আসস্থ করেন তিনি।