সিলেট ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০
অন্তরা চক্রবর্তীঃঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে সরকারী কোন উপজেলা হাসপাতাল না থাকায় মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবং করোনার নমোনা না দিতে পারায় ভয় ও আতংকের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। উপজেলা ঘোষনার ৬ বছর অতিবাহিত হলেও এ উপজেলাবাসীর জন্য গড়ে উঠেনি কোন সরকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্স। তাই বাধ্য হয়েই শহরের হাসপাতালে দৌরতে হয় উপজেলার সাধারণ মানুষকে।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য নিয়ে দিশেহারা সাধারণজনগন। করোনা ভাইরাসের কারণে উপজেলার তাজপুর উপ -স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নমোনা গ্রহনের জন্য ব্যবহার করা হলেও দির্ঘ ১০ দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্সে কোন নমোনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। তাজপুর কদমতলা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সংস্কার কাজের জন্য গত ১০জুন থেকে নমুনা সংগ্রহসহ সকল স্বাস্থ্য সেবার র্কাযক্রম বন্ধ রয়েছে। ৩০ জুন র্পযন্ত ওসমানীনগরে নমুনা সংগ্রহের কাজ বন্ধ থাকবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
মহামারি করোনার দূর্যোগময় সময়ে ওসমানীনগরে বিকল্প উপায়ে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষ মানুষরে জন্য একটি মাত্র নমুনা কেন্দ্র সংস্কার কাজরে জন্য বন্ধ করা হয়। যার জন্য উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীরাও নমোনা প্রদান না করে ফিরে যেতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের এমন কর্মকান্ডে করেনা ঝুঁকি সহ দূর্ভোগের মধ্যে পড়ছেনে উপজলোর লক্ষ লক্ষ মানুষ। উপজেলায় নমুনা প্রদানের সুযোগ না থাকায় উপজেলার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ করোনা উপর্সগ নিয়ে থাকলওে পাশ্বর্বতী বালাগঞ্জ উপজলো স্বাস্থ্য কম্পেক্স ও সিলেট শহীদ শামসুদ্দনি হাসপাতালে গিয়ে নমুনা প্রদান করতে হবে তাই অনকেইে উপসর্গ থাকা সত্বেও নমুনা প্রদান থেকে বিরত রয়েছে। ওসমানীনগরে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে ২৯জন এর মধ্যে মারা গেছেন ২জন এই অবস্থার মধ্যে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হওয়ায় উপজলোয় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে অনকেইে আশংকা করছনে।
ওসমানীনগরের দ্বায়ীত্বে থাকা বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহারিয়ার আলম বলেন, তাজপুর উপ -স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুইজন করোনা পজেটিভ থাকায় এবং সেখানে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কারনে নমোনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে তবে কেই নমোনা দিতে চাইলে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দিতে পারবেন।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলনে, তাজপুর সড়ক ও জনপথের রস্টে হাউজে একজন চিকিৎসক বসে মানুষকে সেবা প্রদান ছাড়াও করোনার নমুনা সংগ্রহ করবেন।