সিলেট ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০
আবুল ফয়েজ খান কামাল /ফেঞ্চুগঞ্জঃঃ
স্বাস্থ্য বিধি না মানার ফলে ফেঞ্চুগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফেঞ্চুগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ২৭ জুন শনিবার পর্যন্ত মোট ৩২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ২৬ জুন পর্যন্ত মোট রিপোর্ট এসেছে ২২৩ জনের। তাতে করোনা পজিটিভ এসেছে ৩৭ জনের এবং নেগেটিভ এসেছে ১৮৬ জনের। গড় হিসেবে দেখা যায় ফেঞ্চুগঞ্জে প্রতি ৬ জনে ১ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রথম দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ করোনা মুক্ত থাকলেও, বর্তমানে ফেঞ্চুগঞ্জ করোনার হটস্পট।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় ৮ মার্চ ২০২০ইং এর ঠিক ২৮ দিন পর গত ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তারপর ফেঞ্চুগঞ্জ ব্যতিত সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় প্রতি দিন করোনা রোগী সনাক্ত হতে থাকে।কিন্তু বেশী দিন করোনা মুক্ত থাকতে পারেনি ফেঞ্চুগঞ্জ।
গত ১১ মে ফেঞ্চুগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তারপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জে দ্রুতই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২৬ জুন শুক্রবার ফেঞ্চুগঞ্জে আরও ৮ জনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়। তার মধ্যে একজনের বাড়ী গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। ২৭ জুন শনিবার আক্রান্তদের বাড়ী লক ডাউন করা হয়েছে। লক ডাউন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখি আহমদ।
এ নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৪ জন, বাকী ২৩ জন তাদের লক ডাউন কৃত বাড়ীতে কোয়ারান্টাইনে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালের আইসোলেশনে কোনো রোগী নেই বলে জানা যায়।
ফেঞ্চুগঞ্জে হঠাৎ করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে,সেখানে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রচুর মানুষ আসেন,তারা বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করেন।
এছাড়াও গণ পরিবহন ও নদী পথে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করা,মাস্ক না পড়া, করোনায় আক্রান্ত হয়ে টেস্ট না করিয়ে গোপনে চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমেও করোনা ছড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।