‘গুরুতর সমস্যায়’ যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

যুক্তরাষ্ট্র নতুন করোনা ভাইরাস নিয়ে ‘গুরুতর সমস্যায়’ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি। এপ্রিলের পর হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের প্রথম ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। গতকাল এ খবর দেয় বিবিসি।ফাউচি বলেছেন, সবাই একসঙ্গে সংক্রমণ ঠেকাতে পারলেই কেবল করোনাকে দূর করা যাবে।

 

ব্রিফিংয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার রুখতে মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ‘আরও কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার ওপর জোর দিলেও দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছেন।অথচ বৃহস্পতিবারই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ১৭৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ টালিতে দেখা যাচ্ছে।সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ পেরিয়ে গেছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার। এ সংখ্যা বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি।

 

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সের সদস্যরা উপসর্গ না থাকলেও তরুণদের ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুরোধ করেছেন।সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির ঊর্ধ্বগতি দেখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই টাস্কফোর্সের ব্রিফিং আয়োজন করতে বলেছেন বলে পেন্স জানিয়েছেন।প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় এরই মধ্যে টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য অর্থনীতি সচলে বিধিনিষেধ আরও শিথিলের পথ থেকে সরে এসেছে। অনেকে বলছেন, শনাক্তকরণ পরীক্ষার আওতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কিছু কিছু এলাকায় পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্ত রোগী বেশি পাচ্ছেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন বলছেন, দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের ১০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।ব্রিফিংয়ের শুরুতে হোয়াইট হাউস করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক ড. ডেবোরাহ বার্ক্স নির্দেশনা মেনে চলায় তরুণদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আগে আমরা তাদের ঘরে থাকতে বলেছিলাম, এখন তাদের নিজেদের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা, তা পরীক্ষা করাতে বলছি।’শনাক্তকরণ পরীক্ষার নির্দেশনায় ‘বড় ধরনের পরিবর্তন আসায়’ কর্মকর্তারা এখন উপসর্গবিহীন এবং মৃদু আক্রান্তদেরও চিহ্নিত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এ মার্কিন বিশেষজ্ঞ।

 

ব্রিফিংয়ে ড. ফাউচি দেশের কোনো এলাকায় সংক্রমণ বাড়লে, তা সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেন। দক্ষিণ ও পশ্চিমের অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভাইরাসের উত্থানের পেছনে কোথাও কোথাও আগেভাগে বিধিনিষেধ শিথিল, কোথাও নির্ধারিত সময়ে বিধিনিষেধ তুললেও ‘নিয়মমাফিক পদক্ষেপ’ না নেওয়া এবং মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশনা মেনে না চলাকে দায় দিয়েছেন।

Spread the love

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930