সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০
এনামুল কবির মুন্না/দোয়ারাবাজারঃঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে রোববার মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিপাত না হলেও ভাটিতে পানির টান না থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমাসহ উপজেলার সকল নদনদীর পানি ধান ধান (শম্ভুক গতিতে)হয়ে কমলেও দূর্গত এলাকায় বানের পানি কমেনি। ফলে দূর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের।
জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য খামারি টেংরাটিলা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, পানিতে ভেসে গেছে সুরমা, বগুলঅ ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের শতাধিক ঘেরের কোটি টাকার মাছ। উপজেলা নদীভঅঙন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের সম্মুখস্থ আব্দূল মছব্বির ও আব্দুল হেকিমের দুটি দোকান সুরমা নদীতে তলিয়ে গেছে। গত বছরও আব্দুল হেকিমের আরেকটি দোকানঘর সুরমায় তলিয়ে গেছে।
চিলাই নদী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আকন্দ (সাব্বির) জানান, উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়নর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বানভাসি মানুষজন চরম দূর্ভোগ পোহচ্ছেন। এছাড়া দোয়ারাবাজার-বগুলা-লক্ষীপুর সড়কে সুরমা ইউনিয়নের মোকামের পাশে, বগুলা ইউনিয়নস্থ ক্যাম্পের ঘাটের পাশে ও উত্তর আলমখালী অংশে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙনসহ বিভিন্ন সড়কে অনেকগুলো ফাঁটল ও ভাঙন দেখা দেয়ায় সহস্রাধিক হেক্টর উঠতি আউশ ফসল, আমনের বীজতলা ও সবজি খেত তলিয়ে যাওয়ায়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
একদিকে মহামারি করোনার থাবা, অপরদিকে ভয়াল বন্যার ছোবল। এ যেন ‘মরার উপর খরার ঘা’। বিশেষত খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন পড়েছেন চরম দূর্ভোগে। এসব দৈন্যদশায় অচিরেই দোয়ারাবাজার উপজেলাকে বন্যা দূর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ কন্ট্রোলরুম ছাড়াও তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ যাবত দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, লক্ষীপুর, বাংলাবাজার, সুরমা ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নে দূর্গতদের মাঝে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। আগামিকাল বাকি দুই ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে। বানের পানিতে যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নের জন্য সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। পানি কিছুটা হ্রাস পেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করাটা সহজ হবে।
বগুলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল তার ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে ১৫টি ঘর ও একটি মাদ্রাসা বিধস্তের রিপোর্ট দিয়েছেন। দূর্যোগ মোকাবেলায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।