অবশেষে উদ্ধার হলো ‘মর্নিং বার্ড’

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

অবশেষে উদ্ধার হলো  ‘মর্নিং বার্ড’

 

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে লঞ্চ মর্নিং বার্ড। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এয়ার লিফ্টিং ব্যাগ দিয়ে ভাসিয়ে তোলা হয় লঞ্চটিকে। পরে এটিকে তীরে নিয়ে আসা হয়।

 

এর আগে সোমবার রাতভর তল্লাশির পর এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আবারও তল্লাশি শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও এই অভিযানে অংশ নেন।

 

সোমবার সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় ছোট আকারের লঞ্চ মর্নিং বার্ড। মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটে এসে নোঙর করতে যাচ্ছিল মর্নিং বার্ড। ময়ূর-২ লঞ্চটিও চাঁদপুর থেকে সদরঘাটে এসে যাত্রী নামিয়ে ভিন্ন স্থানে নোঙর করতে যাচ্ছিল।

 

ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে আজ পর্যন্ত মোট ৩৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে ভেসে ওঠার পর কোস্ট গার্ডের কর্মীরা তাকে তুলে নেন। উদ্ধার করার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তাকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

 

লঞ্চডুবির ঘটনায় গতকাল রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন-ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ, কর্মচারী মো. আবুল বাশার, মো.জাকির হোসেন, ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার, ড্রাইভার শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির মৃধা ও হৃদয়।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিপত কিনা-সেটাও তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, দুর্ঘটনার পর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031