সিলেট ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ বিয়ানীবাজারে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ উপজেলায় করোনা এখন শতক ছুঁই ছুঁই। মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ জনে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেটের দু’টিসহ ঢাকার ল্যাব থেকে ৮১টি নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৮৫টি নমুনার প্রতিবেদন এখনও বিয়ানীবাজারে পৌঁছায়নি। সেগুলো এলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ পর্যন্ত বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৭৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৫৮১টির।
গত ২৪ এপ্রিল এ উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হন পৌর এলাকার নয়াগ্রামে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা যা ছিল, তার প্রায় ৭ গুণের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন চলতি জুন মাসের ৩০ দিনে। গত ৩১ মে পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ জন। আর ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৮ জন। অর্থাৎ চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমিত হয়ে এ উপজেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। তবে একই সঙ্গে বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও, এখন পর্যন্ত ৩১ জন রোগী করোনামুক্ত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, বিয়ানীবাজারে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এপ্রিল-মে মাসের তুলনায় চলতি জুন মাসে অনেক বেশি বেড়েছে। যত বেশি নমুনা ল্যাবে যাচ্ছে, ততই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এর মধ্যে আমরা ৩১ জনকে সুস্থ করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, জুন মাসের শুরু থেকেই এ অঞ্চলে করোনার সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। মূলত স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে আমরা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর বলেন, প্রতিদিনই উপজেলায় করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের ৮০ ভাগের বেশি পৌর এলাকার হওয়ায় পৌরসভা করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা। সবাই সচেতন হলেই কেবল মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব। এখন বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা। সবাই সচেতন হলেই কেবল মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।