ছাতকে ভূয়া ইজারা বাতিলের দাবী

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

ছাতকে ভূয়া ইজারা বাতিলের দাবী

প্রতিনিধি/ছাতকঃঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক নদীবন্দর উন্মুক্ত দরপত্র বা ই-টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে ইজারা প্রদানের দাবীতে পৃথক ৩টি আবেদন দেয়া হয়েছে। গত ২৯ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে শহরের বাগবাড়ী এলাকার জামাল আহমদ চৌধুরী, চরেরবন্দ এলাকার শাহ নেওয়াজ চৌধুরী ও কালারুকা ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা কাওসার আহমদ। আবেদনে বলা হয়েছে, ইজারার নীতিমালা উপেক্ষা করে ছাতক নদীবন্দর ইজারা দেয়া হয়েছে।

 

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কে বা কারা অতি গোপনীয়তা অবলম্বন করে ছাতক নদীবন্দর ২০২০-২০২১ ইং অর্থ বছরের জন্য নবায়ন মুলে ইজারা প্রদান করেছে। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী নবায়ন মুলে নদী বন্দও ইজারা প্রদান সম্পূর্ন বেআইনী ও প্রথম ঘটনা। এ ধরনের কার্যক্রমে আগ্রহী ইজারাদারগন আর্থিক ও মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

ভুয়া ইজারা বা নবায়ন মুলে ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে উন্মক্ত দরপত্র আহবান করা হলে ছাতক নদী বন্দর বর্তমান মূল্যের চেয়ে শতকরা ৩০-৪০ ভাগ বেশী মূল্য দিয়ে ইজারা গ্রহনে আবেদনকারীরা প্রস্তুত রয়েছেন। অন্যতায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।

 

১০১৫ইং সালে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের মাধ্যমে ছাতক নদীবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এখানে ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। এ সময় ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসারতার আখাংকায় এখানের ব্যবসায়ীদেরে মধ্যে সৃষ্টি হয় নতুন উদ্যম ও উৎসাহ।

 

এখানের নদীবন্দরকে কেন্দ্র কওে নৌ-চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম ছাড়া সবই এখানের মানুষের কল্যানে চলছিল। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ছাতক নদীবন্দর নবায়ন মুলে ইজারা প্রদানের বিষয়টি ব্যবসায়ী ও ইজারা গ্রহীতাদের করেছে হতাশা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার অধীনস্থ ছাতক নদীবন্দর উদ্বোধনের পর থেকেই দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ইজারা প্রদান কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ এর অজুহাতে নবায়ন মুলে নামমাত্র মুল্যবৃদ্ধি দেখিয়ে পূর্বের ইজারাদারদের কাছেই এ নদীবন্দর ইজারা দিয়েছেন। যা প্রাইভেট প্রোকুরমেন্ট আইন বা ক্রয়-বিক্রয় নীতমালা পরিপন্থি।

 

নবায়ন মুলে বা টেন্ডার ছাড়া নদীবন্দর ইজারা বিষয়টি নিয়ে জুনের প্রথম দিকে জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে সংবাদও প্রকাশিত হয়। এরকটি জাতীয় দৈনিকে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ইজারা নীতিমালা সংশোধনের কথা বলে কমডোর গোলাম সাদেক জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে নৌপথে যাত্রী চলাচল ও মাল পরিবহন দু-ই কমেছে। এ ছাড়া প্রায় দু’মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ইজারাদারগন ক্ষতিপুরন চাচ্ছেন। এমন জটিল পরিস্থিতিতে শুধু এক বছরের জন্য নিজ নিজ ঘাট নবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ বোর্ড। এ ক্ষেত্রে প্রাক্কালিন ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে এখানের ব্যবাসয়ী ও ইজারা আগ্রহীরা জানান, নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি সরকারের। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষে নীদিমালা সংশোধনের এখতিয়ার নেই। রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে ভূয়া ইজারা বাতিল করে ছাতক নদীবন্দর উন্মুক্ত দরপত্র আহবানের মধ্যদিয়ে ইজারা প্রদানের দাবী জানান আবেদনকারীরা।

Spread the love