প্রতিনিধি/জুড়ীঃঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পরে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত এ.আর সাজেদের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বিজিবি ক্যাম্প চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাহাব উদ্দিন সাবেল বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে জুড়ী ডাকঘর সড়কের কালিবাড়ী মন্দির এলাকায় তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পরে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত এ.আর সাজেদের কর্মী নিয়াজুল ইসলাম নিজুর উপর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পরে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত এ.আর সাজেদ তার কর্মীদের নিয়ে বিজিবি ক্যাম্প চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল এর উপর পাল্টা হামলা করেন। এতে সাহাব উদ্দিন সাবেল আহত হয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনায় সন্ধ্যার পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রকাশ্যে দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পরে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত এ.আর সাজেদ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলের নেতৃত্বে আমার কর্মীর উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করা হয়েছে।
নিয়াজুল ইসলাম নিজুর উপর হামলার কথা অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল বলেন, আমি ও সাধারন সম্পাদক একটি মোটর সাইকেলে ফেরার পথে আমার উপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।
দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় পুলিশের নিরব দর্শকের ভূমিকা পালনের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন মিছিল আমাদের চোখে পড়েনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।